‘রুশদি জীবন্ত লাশ’, হামলাকারীকে প্রশস্তি করে পুরস্কৃত করার ইচ্ছা ইরানের সংস্থার


তেহরান: সলমন রুশদির (Salman Rushdie) হামলায় অভিযুক্ত যুবককে প্রশংসায় ভরিয়ে দিল ইরানের (Iran) এক সংস্থা। ওই ‘সাহসী কাজের’ (Award For Brave Action) পুরস্কার বাবদ অভিযুক্ত যুবককে ১ হাজার বর্গমিটার  কৃষিজমি দেওয়া হবে বলেও প্রতিশ্রুতি দিয়েছে ওই সংস্থা। তাদের সম্পাদক মহম্মদ এসমাইল জারেই-কে উদ্ধৃত করে ইরানের সরকারি টেলিভিশন চ্যানেল জানায়, ‘রুশদির একটি চোখ এবং একটি হাত নষ্ট করে দিয়ে মুসলিমদের শান্তি দেওয়ার মতো কাজ করেছেএখন ওই মার্কিন যুবক। ওঁকে ধন্যবাদ।’

কী দাবি সংস্থার?
জারেই বলেছেন, ‘রুশদি এখন জীবন্ত লাশ। এমন সাহসিকতার জন্য ওই ব্যক্তি (অভিযুক্ত যুবক) বা তাঁর আইনি উত্তরাধিকারীকে ১ হাজার বর্গমিটার কৃষিজমি দান করতে চাই।’ প্রসঙ্গত, গত আগস্টে নিউ ইয়র্কে একটি অনুষ্ঠানে বক্তৃতা দেওয়ার কথা ছিল বিশিষ্ট লেখকের। হঠাতই অনুষ্ঠান মঞ্চে উঠে তাঁকে ছুরি দিয়ে এলোপাথারি কোপাতে শুরু করেন বছর চব্বিশের এক যুবক। কয়েক মুহূর্তের মধ্যে মাটিয়ে লুটিয়ে পড়েন রুশদি। ধরে ফেলা হয় অভিযুক্তকেও। পুলিশের দাবি, তাঁর নাম হাদি মাতার। তবে খুনের অভিযোগ মানতে চাননি হাদি। সূত্রের খবর, হাদি কট্টর শিয়াপন্থী। উল্লেখ্য, ১৯৮৮ সালে দ্য স্যাটানিক ভার্সেস লিখে কট্টরপন্থী ইসলাম ধর্মবিশ্বাসীদের চক্ষুশূল হয়েছিলেন ভারতীয় বংশোদ্ভূত এই লেখক। সেই সময় রুশদির নামে ‘ফতোয়া’ জারি করেছিলেন ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতোল্লা রুহোল্লা খোমেনেই। ‘দ্য স্যাটানিক ভার্সেস’ প্রকাশিত হওয়ার কয়েক মাসের মধ্যেই তাঁকে হত্যার এই ফতোয়া জারি হয়। সে জন্য দীর্ঘ দিন পুলিশি ঘেরাটোপে থাকতে হত এই লেখককে। তবে গত কয়েক বছর ধরে নিশ্চিন্তে প্রকাশ্যে আসতেন। এর মধ্যেই গত বছরের হামলা।

আরও যা…
অভিযুক্ত হাদির পরিবার লেবানন থেকে আমেরিকায় চলে এসেছিল বলে জানা যায়। আমেরিকাতেই জন্ম হাদির। তবে রুশদির উপর এই হামলার সঙ্গে ইরানের সরাসরি যোগ রয়েছে এমন স্পষ্ট হয়নি। এমনকি ইরান সমর্থিত লেবাননের সশস্ত্র সংগঠন হেজবুল্লা রুশদির উপর আক্রমণ থেকে দূরত্ব বাড়িয়ে জানায়, তাদের কোনও সংযোগ নেই। তবে ইরানের সংবাদপত্রে রুশদির উপর হামলায় সন্তুষ্টি প্রকাশ করা হয়েছে বলে খবর। ৭৫ বছরের প্রবীণ লেখক ওই হামলার পর অবশ্য একটি চোখের দৃষ্টিশক্তি হারিয়েছেন। একটি হাতও ব্যবহার করতে পারছেন না। তবে হাসপাতালে বেশ কিছুদিন অত্য়ন্ত সঙ্কটজনক থাকার পরও জীবনে ফিরে এসেছেন তিনি। তাতেই তুষ্ট পরিবার ও ভক্তরা। 

আরও পড়ুন:মেডিকা হাসপাতাল চত্বরে আগুন, আতঙ্কিত রোগীর পরিজনেরা

 



Source link

https://sluicebigheartedpeevish.com/u4j5ka2p?key=f9b1fb0aab078545b23fc443bdb5baad

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

%d bloggers like this: