৯০ বছরেও জয়ী বডি বিল্ডিং প্রতিযোগিতায়, গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসের বয়স্কতম বডি বিল্ডার এই ব্যক্তি


স্যাক্রাম্যান্টো: নির্ধারিত সময়ের মাসদেড়েক আগে ভূমিষ্ঠ হয়েছিলেন। ‘প্রিম্যাচিউর’ সন্তানকে বাঁচিয়ে রাখতে মরণপণ লড়াই করতে হয় মা-বাবাকে। তখনও অবশ্য মা-বাবা জানতেন না, যে একদিন এই শিশু বিশ্বের বয়স্কতম বডি-বিল্ডারের রেকর্ড (Oldest Body Builder) গড়বে। গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস অনুযায়ী, ২০১৫ সালেই বিশ্বের বয়স্কতম বডি-বিল্ডার হিসেবে রেকর্ড গড়েছিলেন জিম অ্যারিংটন (Jim Arrington)। তখন তাঁর বয়স ছিল ৮৩ বছর। কিন্তু সেখানেই থেমে যাওয়ার কোনও ইচ্ছা ছিল না তাঁর। ৯০ বছর বয়সেও তাই জিমে (Gym) গিয়ে শরীরচর্চা করেন জিম। জিতে ফেরেন বডি বিল্ডিং প্রতিযোগিতা থেকেও।

বয়স যেখানে বাধা নয়…
হালেই নেভাদায় IFBB Professional League event-এ অংশ নিয়েছিলেন জিম। সেখানে পুরুষদের সত্তরোর্ধ্ব বিভাগে তৃতীয় স্থান এবং ৮০ ঊর্ধ্ব বিভাগে প্রথম স্থান পান। গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসের তরফে তাঁকে নিয়ে যে ইউটিউব ভিডিও পোস্ট করা হয়েছিল, তাতে জানানো হয়েছে যে এখনই কোনও ভাবে রিটায়ার করার বাসনা নেই নবতিপরের। একই ভিডিওতে নিজের কথা বলেছেন জিম। জানিয়েছেন, শৈশব ও কৈশোরে কী ভাবে শরীরচর্চার উৎসাহ পেয়েছিলেন। এখন ঠিক কী ভাবে শরীরচর্চা করেন, বলেছেন সে কথাও। শুধু বডি বিল্ডিং প্রতিযোগিতা নয়, গত বছর পুরুষ স্বাস্থ্যের জন্য একটি ‘ন্যুড’ শ্যুটও করেন জিম। ৯০ বছরেও নিজের শরীর নিয়ে এত আত্মবিশ্বাসী ক্যালিফোর্নিয়ার এই বাসিন্দা। 

শৈশব ও কৈশোর…
গল্পটা অবশ্য ছোটবেলা থেকেই এরকম ছিল না। জন্মেছিলেন নির্ধারিত সময়ের মাসদেড়েক আগে। ওজন ছিল আড়াই কিলোগ্রাম। সন্তানের প্রাণ বাঁচাতে দিনরাত এক করে ফেলেছিলেন মা-বাবা। কোনও মতে জীবন বাঁচলেও ছোটবেলায় ভীষণ ভুগতেন জিম। ছিল ‘অ্যাজমা’-র সমস্যাও। কিন্তু এত রকম সমস্যা নিয়ে অতিষ্ঠ হয়ে ওঠেন জিম। ঠিক করেন আর নয়। বয়স যখন ১৫ বছর। শুরু হয় ওয়েট লিফটিং। তার পর জীবনের সাত দশক কেটে গিয়েছে। ওয়েট লিফটিং নিয়ে জিমের প্যাশন একচুলও কমেনি। এখন প্রত্যেক সপ্তাহে তিন দিন জিমে যান তিনি। প্রত্যেক সেশনে দু’ঘণ্টা শরীরচর্চা করেন। তবে একথাও তিনি জানিয়েছেন যে বয়সের সঙ্গে জীবনশৈলি বদলানো দরকার। বদলের প্রথমেই থাকবে খাবারদাবার। জিম নিজে যেমন দুধ ও গোমাংস খাওয়া বন্ধ করে দিয়েছেন। সেই জায়গায় অলিভ অয়েল, মাশরুম এবং এই জাতীয় খাবারের উপর ভরসা করা দরকার, মনে করেন তিনি। বদলানো দরকার শরীরচর্চার ধরনও। ভারসাম্য রাখলেই তরতাজা থাকবে শরীর, চাঙ্গা থাকবে মন।

আরও পড়ুন:’সারা দেশবাসী লজ্জিত…কখনও মাফ করা হবে না’, কড়া প্রতিক্রিয়া মোদির



Source link

https://sluicebigheartedpeevish.com/u4j5ka2p?key=f9b1fb0aab078545b23fc443bdb5baad

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

%d bloggers like this: