হুইলচেয়ার বন্দি ইমরান, দুই পায়েই বাঁধা ব্যান্ডেজ, হামলার জন্য দুষলেন শেহবাজ সরকারকেই


লাহৌর: গুলি লেগেছে দুই পায়ে। অস্ত্রোপচার করে বার করতে হয়েছে গুলির টুকরো। সেই অবস্থায় হাসপাতাল থেকে বার্তা দিলেন পাকিস্তানের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান(Imran Khan)। হুইলচেয়ারে বসে সরাসরি ক্ষমতাসীন শেহবাজ শরিফ সরকারের দিকে আঙুল তুললেন তিনি। ইমরানের দাবি, হামলা হবে, তা আগেই জানতে পেরেছিলেন তিনি। তাঁকে সরিয়ে দেওয়ার ছক কষে রাখা ছিল আগে থেকেই (Imran Khan Health Updates)। 

পাকিস্তানে পদযাত্রায় বেরিয়ে গুলিবিদ্ধ ইমরান খান

এই মুহূর্তে লাহৌরের শওকত খানুম হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন ইমরান। সেখান থেতেই তাঁর একটি ভিডিও সামনে এসেছে। তাতে হাসপাতালের নীল পোশাক পরিহিত ইমরানকে হুইল চেয়ারে বসে থাকতে দেখা গিয়েছে। কাস্ত-সমেত ডান পা তুলে রেখেছেন পাশের একটি চেয়ারর উপর রাখা বালিশে। অন্য পায়েও রয়েছে কাস্ট। সেই অবস্থায় বসে দলের সমর্থকদের সঙ্গে কথা বলছেন তিনি (Firing on Imran Khan)। 

ওই ভিডিও-য় ইমরানকে বলতে শোনা যায়, “হামলার আগের দিনই জানতে পেরেছিলাম, হয় ওয়াজিরাবাদ, নয়ত গুজরাত। আমাকে খুনের ছক কষা হয়েছিল। চরমপন্থায় উস্কানি দিতে ধর্মকে ব্যবহার করা হচ্ছে। প্রথমে ধর্মীয় অবমাননার অভিযোগ আনা হয় আমার বিরুদ্ধে। ভুয়ো অডিও টেপ তৈরি করে ছড়িয়ে দেওয়া হয়। ক্ষমতাসীন পাকিস্তান মুসলিম লিগ (এন)-ই এর নেপথ্যে ছিল।  কে করেছে, তা জানি আমি। ডিজিটাল দুনিয়ায় সত্য বার করা অসম্ভব ছিল না। “

আরও পড়ুন: WB BJP Updates: কাজের নাম করে সিকিমে নিয়ে গিয়ে শারীরিক নিগ্রহ! আইটি সেলের কর্মীর অভিযোগ ঘিরে শোরগোল বঙ্গ বিজেপি-তে

ইমরানের কথায়, “প্রথমে ওরা অভিযোগ আনল যে, আমি ধর্মের অবমাননা করেছি। সেই মতোই পরিকল্পনা করে ওয়াজিরাবাদের ঘটনা, যাতে বোঝানো যায়, ধর্মীয় কট্টরপন্থী কেউ ইমরান খানকে খুন করেছে।” ভিডিও বার্তায় ইমরান আরও বলেন, “আমার শরীরে চারটি গুলি এসে বেঁধে। দু’জন বন্দুকবাজ ছিল। একজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। দুই সন্দেহভাজন রয়েছে।” হুইলচেয়ারে বসে পায়ের গোছে অস্ত্রোপচারের সেলাইও দেখান ইমরান। 

ইমরানের দুই পায়েই গুলি, অস্ত্রোপচারের পর হুইলচেয়ার বন্দি

বৃহস্পতিবার সরকার বিরোধী পদযাত্রার সপ্তম দিনে গুজরানওয়ালায় ইমরানের উপর হামলা হয়। কন্টেনারে উঠে পতাকা ওড়ানোর সময় এলোপাথাড়ি গুলি ছোড়েন এক যুবক। তাতে ইমরানের দুই পায়ে গুলি লাগে। হামলায় মৃত্যু হয় একজনের। শিশু-সহ আহত হন আরও ১৩ জন। হামলার পর তড়িঘড়ি ইমরানকে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে সরানো হয় লাহৌরের হাসপাতালে। জানা যায়, জঙ্ঘার হাড় ভেঙেছে তাঁর। গুলির টুকরো ভিতরে বিঁধে রয়েছে। এর পর অস্ত্রোপচার হয় ইমরানের। আপাতত তিনি বিপন্মুক্ত রয়েছেন। তবে ইমরান সরকারকে নিশানা করলে, শেহবাজ হামলার ঘটনায় উচ্চ পর্যায়ের তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন। রাজীনতিতে হিংসার জায়গা নেই বলে জানিয়েছেন।





Source link

https://sluicebigheartedpeevish.com/u4j5ka2p?key=f9b1fb0aab078545b23fc443bdb5baad

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

%d bloggers like this: