<p><strong>নয়া দিল্লি:</strong> ডাইভ দিয়ে জলের নিচে সমুদ্র দেখার শখে স্কুবা ডাইভিংয়ের প্রচলন শুরু হয়। এখন তা জনপ্রিয় একটি ওয়াটার স্পোর্টস। কিন্তু তাই বলে কেবল ঘণ্টার পর ঘণ্টা নয়, ১০০ দিন সমুদ্রের তলায় থাকলে বছর ৫৫ এর এক প্রফেসর। যিনি সমুদ্রের তলদেশে প্রায় ৩০ ফিট নিচে, ৫৫ স্কোয়ার মিটার এলাকায় থেকেছেন, এমনটাই জানা গিয়েছে। </p>
<p>যদিও জানা গিয়েছে, এটি একটি গবেষণার কাজে এই কাজ করেছেন প্রফেসর। পয়লা মার্চ থেকে এই এক্সপেরিমেন্টটি শুরু করেছিলেন সাইকোলজিস্টদের একটি দল। তবে সেই দলটি প্রফেসর দিতুরির শরীর ও মনের দিকে নজর রেখেছিলেন। জলের নিচে থাকাকালীন প্রায় প্রতিদিনই তাঁর চেক-আপ চলত। গবেষণা শেষে স্থলভাগে উঠে প্রফেসর বলেন, ‘এর আগে কখনও কোনও মানুষ জলের নিচে এত দীর্ঘ সময় ধরে থাকেনি। আমার শরীর ও মনে কী প্রভাব পড়ছে সেটা দেখার জন্য প্রতিদিনই চেকআপ করা হয়েছে। জলের নিচে অতটা হাইড্রলিক প্রেসারে প্রাথমিকভাবে অসুবিধা হয়েছিল। তবে ধীরে ধীরে তা সয়েও গিয়েছিল।’ </p>
<p>এই স্টাডিতে বলা হয়েছে কীভাবে অত্যাধিক চাপে দেহকোষের মরণ হয় না। বরং আরও শক্তিশালী হয়ে ওঠে। রিপোর্ট থেকে এও জানা যাচ্ছে, চাপ যদি বাড়ানো হয়, তাহলে দেহকোষের দীর্ঘায়ু লাভ হয়। বয়স বাড়ার বদলে উল্টো দিকে ঘোরে। </p>
<p>প্রসঙ্গত, ইউনিভার্সিটি অফ সাউথ ফ্লোরিডাতে যোগদানের আগে, দিতুরি মার্কিন নৌবাহিনীতে ২৮ বছর ধরে স্যাচুরেশন ডাইভিং অফিসার হিসাবে কাজ করেছিলেন। তিনি ২০১২ সালে একজন কমান্ডার হিসাবে অবসর গ্রহণ করেন। ১০০ দিনের এই মিশনের সময়, বায়োমেডিকেল বিশেষজ্ঞ নতুন প্রযুক্তি পরীক্ষা করেন। একটি কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার সরঞ্জাম যা অসুস্থতার জন্য একটি মানবদেহের স্ক্রিনিং করতে পারে এবং কোনো ওষুধের প্রয়োজন আছে কিনা তা নির্ধারণ করতে পারে।</p>
<p><strong>আরও পড়ুন, <a title="কাজের চাপে গাছেরাও কাঁদে! বৃক্ষের আর্তনাদ রেকর্ড করলেন বিজ্ঞানীরা" href="https://bengali.abplive.com/science/plants-cry-when-stressed-scientists-record-sound-unheard-by-humans-968510" target="_blank" rel="noopener">কাজের চাপে গাছেরাও কাঁদে! বৃক্ষের আর্তনাদ রেকর্ড করলেন বিজ্ঞানীরা</a></strong></p>
<p>পঞ্চাশোর্ধ্ব প্রফেসর বলেন, ‘মিলিটারিতে আমার অনেক ভাই-বোন মানসিক আঘাতজনিত মস্তিষ্কের আঘাতে ভুগছিলেন এবং আমি শিখতে চেয়েছিলাম কীভাবে তাদের সাহায্য করা যায়। তা ভালভাবে জানতে হাইপারবারিক চাপ ব্যবহার করা হয়। সেরিব্রাল রক্ত প্রবাহকে বাড়িয়ে তুলতে পারে। অনুমান করে যে এটি মস্তিষ্কের আঘাতের চিকিত্সার জন্য ব্যবহার করা যেতে পারে।’ </p>
Source link
সমুদ্রের নিচে ১০০ দিন কাটালেন পঞ্চাশোর্ধ্ব প্রফেসর, তকমা পেলেন ‘সুপার হিউম্যানের’
https://sluicebigheartedpeevish.com/u4j5ka2p?key=f9b1fb0aab078545b23fc443bdb5baad