সমুদ্রতটে বড় বড় পায়ের ছাপ, ডাইনোসরের না অন্য কোনও দানবীয় প্রাণীর?


কলকাতা: বন্ধুদের সঙ্গে বেরিয়েছিলেন সমুদ্রতীরে। একটু গল্প করবেন, ঘুরে দেখবেন এলাকা। কিন্তু এক দৃশ্য দেখে তো চোখ কপালে ওঠার পরিস্থিতি। সমুদ্রতটে দানবীয় পায়ের ছাপ। এ যেন কোনও প্রাণীরই হবে, তা বুঝতে বিন্দুমাত্র অসুবিধা হয়নি জীবাশ্মবিদের। ব্রিটেনে যে এমন দৈত্যাকার পদচিহ্ন পাওয়া যেতে পারে তা অবশ্য কল্পনাতীত ছিল। 

সংবাদসংস্থা সিএনএন-এ প্রকাশিত রিপোর্ট অনুযায়ী, প্রায় এক মিটার (৩.৩ ফুট) লম্বা পায়ের ছাপটি। প্রাথমিকভাবে অন্য কোনও প্রাণীর কথা ভাবনায় এলেও প্রত্নতত্ত্ববিদরা একমত যে এটি জুরাসিক যুগের কোনও ডাইনোসরের। এই পায়ের ছাপ দেখে বিজ্ঞানীরা এও মনে করছেন যে, এই এলাকায় সেটি সম্ভবত বিশ্রাম নিচ্ছিল বা নীচে হাঁটু গেড়ে বসেছিল। সেই কারণেই মাটিতে গভীরভাবে প্রোথিত হয়ে গিয়েছে। 

মেরি উডস নামের এক স্থানীয় প্রত্নতত্ত্ববিদ ২০২১ সালের এপ্রিলে এই জীবাশ্ম আবিষ্কার করেন। এরপরেই তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ হয় ম্যাঞ্চেচেস্টার বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যপক ডক্টর ডিন লোম্যাক্সের সঙ্গে। ঘটনাচক্রে তিনি একজন জীবাশ্ম বিশেষজ্ঞ ও ‘ডাইনোসরস অফ দি ব্রিটিশ আইলস’এর লেখক। ডক্টর ডিন লোম্যাক্স টুইটারে এই প্রাণীর ছবি পোস্ট করেছেন। বিজ্ঞানী লিখেছেন, ”এটি ইয়র্কশায়ারে পাওয়া সবচেয়ে বড় থেরোপড পদচিহ্ন। ২০২১ সালে বার্নিসটন বে-এর সমুদ্র সৈকতে রব টেলর এবং মারি উডস আবিষ্কার করেছিলেন।”   

 

বিশেষজ্ঞদের কথায়, ৮০ সেন্টিমিটার লম্বা এই বিশেষ পায়ের ছাপ সাধারণত বড়সড়ো ডাইনোসরেরই হয়। সেক্ষেত্রে এই পায়ের ছাপটি কার্নিভোরাস ডাইনোসরের বলে মনে করছেন।

সংবাদমাধ্যম দ্য স্কারবরো নিউজকে মেরি জানান,‘আমি নিজেই বিশ্বাস করতে পারছিলাম না আমি কীসের দিকে তাকিয়ে আছি! আমি দুবার করে খুঁটিয়ে দেখি জিনিসটা। এর আগে বন্ধুদের সঙ্গে বেরিয়ে ছোটখাটো পায়ের ছাপ আমি দেখেছি তবে এতো বড় ছাপ কখনই দেখিনি।’                                                                          





Source link

https://sluicebigheartedpeevish.com/u4j5ka2p?key=f9b1fb0aab078545b23fc443bdb5baad

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

%d bloggers like this: