শেষ মুহূর্তের পেনাল্টিতে গোল বুমৌসের, তিন পয়েন্ট পেয়ে মাঠ ছাড়ল এটিকে মোহনবাগান


কলকাতা: ম্যাচের শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত এটিকে মোহনবাগানকে (ATK Mohun Bagan) আটকে রেখেও পয়েন্টের খরা কাটাতে পারল না জামশেদপুর এফসি। ম্যাচ শেষ হওয়ার আগে পেনাল্টি পেল এটিকে মোহনবাগান। গোল করে ১-০ ম্যাচ জিতেও নিল।

বৃহস্পতিবার ঘরের মাঠে হতাশাজনক পারফরম্যান্স দেখিয়েও যে তিন পয়েন্ট নিয়ে মাঠ ছাড়তে পারল সবুজ-মেরুন বাহিনী, এ জন্য জামশেদপুরের অধিনায়ককে ধন্যবাদ দেওয়া উচিত প্রীতম কোটালদের। সারা ম্যাচে আটটি গোলমুখী শট নিয়েও বিপক্ষের জালে তারা বল জড়াতে পারেনি। গোলের সামনে সঠিক সিদ্ধান্ত না নিতে পারায় এ দিন জামশেদপুরের সঙ্গে কার্যত এক পয়েন্ট ভাগাভাগির পথেই হাঁটছিল তারা। কিন্তু শেষ মুহূর্তের পেনাল্টিতেই জয় আসে। এই জয়ের ফলে ১৯ পয়েন্ট নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে থাকা হায়দরাবাদ এফসি-কে ছুঁয়ে ফেলল এটিকে মোহনবাগান। কিন্তু গোল পার্থক্যে পিছিয়ে থাকায় তিন নম্বরে রইল সবুজ-মেরুন শিবির। টানা ছ’টি ম্যাচে হেরে দশ নম্বরেই রয়ে গেল ইস্পাতনগরীর দল।

চারটি হলুদ কার্ড দেখায় এই ম্যাচে অস্ট্রেলীয় ডিফেন্ডার ব্রেন্ডান হ্যামিল  খেলতে পারেননি। তাই তাঁর জায়গায় রক্ষণে কার্ল ম্যাকহিউকে নামিয়ে আনেন এটিকে মোহনবাগানের কোচ হুয়ান ফেরান্দো। মাঝমাঠে দীপক টাঙরি ও লেনি রড্রিগেজকে একসঙ্গে নামান তিনি। প্রথম দলে আর কোনও পরিবর্তন করেনি সবুজ-মেরুন বাহিনী।

শুরুর ২০ মিনিট প্রতিপক্ষকে চাপে রাখার চেষ্টা করলেও সাফল্য পায়নি এটিকে মোহনবাগান। বাঁ দিকের উইং দিয়ে আশিক কুরুনিয়ান ও লিস্টন কোলাসো আক্রমণে উঠলেও ডানদিক দিয়ে তেমন কোনও আক্রমণে উঠতে দেখা যায়নি তাদের। সুবর্ণ সুযোগ বলতে একবারই পান প্রীতম কোটাল, যখন হুগো বুমৌসের কর্নারে তাঁর হেড ক্রসবারের কয়েক ইঞ্চি ওপর দিয়ে বেরিয়ে যায়।

News Reels

প্রথমার্ধে এটিকে মোহনবাগান দু’টি শট গোলে রাখলেও তা জালে জড়াতে পারেননি লিস্টন কোলাসো ও দিমিত্রিয়স পেট্রাটস। প্রথমার্ধের শেষ মিনিটে জামশেদপুরের বক্সের মধ্যে ডিফেন্ডার রিকি লালমাওমার হাতে বল লাগলেও তাতে পেনাল্টি দেননি রেফারি। ৩৬ মিনিটের মাথায় পন্ডিতার শটটিই ছিল জামশেদপুরের একমাত্র গোলমুখী শট।

এটিকে মোহনবাগানের বেশির ভাগ আক্রমণকেই প্রতিহত করেন জামশেদপুরের ডিফেন্ডাররা। ৭০ মিনিটের  পর থেকে প্রতিপক্ষের বক্সের সামনে প্রচুর পাস খেলে চাপ বাড়াতে থাকে এটিকে মোহনবাগান। আক্রমণে ধার বাড়ানোর জন্য ৭৯ মিনিটের মাথায় কোলাসোর জায়গায় নামেন কিয়ান নাসিরি।

ম্যাচের একেবারে শেষ দিকে উত্তেজনা চরমে ওঠে, যখন জামশেদপুরের অধিনায়ক পিটার হার্টলেকে লাল কার্ড দেখান রেফারি। ৮৯ মিনিটে যখন বাঁ দিক দিয়ে আক্রমণে ওঠেন আশিক কুরুনিয়ান, তখন বক্সের মধ্যে কিয়ান নাসিরিকে কনুই দিয়ে ঠেলে ফেলে দেওয়ায় হার্টলেকে লাল কার্ড দেখান রেফারি রাহুল গুপ্ত এবং সবুজ-মেরুন বাহিনীকে পেনাল্টি দেন। সেই পেনাল্টি থেকেই গোল করেন বুমৌস (১-০)।

এই গোল হওয়ার পরের মিনিটেই তা শোধ করার সুবর্ণ সুযোগ পেয়ে যান ইশান পন্ডিতা। ফারুখ চৌধুরির ক্রসে জোরালো হেড করেন তিনি এবং বল বারের ঠিক নীচ দিয়ে ঢোকার আগেই ফিস্ট করে বের করে দেন বিশাল কয়েথ।

আরও পড়ুন: কেক-চকোলেটেও কমলার ছোঁয়া, নেদারল্যান্ডসে ফুটবল উন্মাদনায় মুগ্ধ বঙ্গকন্যা



Source link

https://sluicebigheartedpeevish.com/u4j5ka2p?key=f9b1fb0aab078545b23fc443bdb5baad

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

%d bloggers like this: