শরীরে সংক্রমণের হার কমছে, ঐন্দ্রিলার ওষুধ পরিবর্তন করলেন চিকিৎসকেরা


কলকাতা: এখনও ভেন্টিলেশন সাপোর্টে রয়েছেন অভিনেত্রী ঐন্দ্রিলা শর্মা (Aindrila Sharma)। তাঁকে রাখা হয়েছে ট্রাকিয়াস্টমি ও সিস্যাপ সাপোর্টে। শরীর তাপমাত্রা, শ্বাসপ্রশ্বাসের অবস্থা ও রক্তচাপ স্থিতিশীল রয়েছে ঐন্দ্রিলার। তবে আশার খবর, শরীরে সংক্রমণের মাত্রা কমেছে ঐন্দ্রিলার। এতদিন পর্যন্ত সংক্রমণকে কমাতেই কড়া ওষুধ দেওয়া হচ্ছিল তাঁকে। আজ সংক্রমণের মাত্রা কম হওয়ায় ওষুধ পরিবর্তন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন চিকিৎসকেরা। ঐন্দ্রিলার স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য মেডিক্যাল বোর্ড রয়েছে। বিভিন্ন বিভাগের চিকিৎসকেরা নজর রাখছেন তাঁর শরীর স্বাস্থ্যের ওপর।                                                                                                                                       

তিনি হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন সপ্তাহ পেরিয়ে গেছে। ক্যান্সারের সঙ্গে লড়াই সেরে সবে কাজে ফিরেছিলেন। কিন্তু আবারও বাধ সাধল রোগ। হঠাৎই অসুস্থ হয়ে পড়েন অভিনেত্রী ঐন্দ্রিলা শর্মা। তড়িঘড়ি ভর্তি করা হয় হাসপাতালে। সোশ্যাল মিডিয়াজুড়ে তাঁর দ্রুত আরোগ্য কামনায় অনুরাগীরা। কেমন আছেন তিনি? প্রত্যেক মুহূর্তের আপডেট জানতে মুখিয়ে সকলে।                             

আরও পড়ুন: Malaika Arora: ‘আমি বললাম হ্যাঁ’! কার প্রস্তাবে সাড়া দিলেন মালাইকা অরোরা?

অন্যদিকে, গত সোমবার সন্ধ্যায় নিজের সোশ্যাল মিডিয়ায় নাতিদীর্ঘ পোস্টে ঐন্দ্রিলার স্বাস্থ্যে সম্পর্কে জানান দেন অভিনেতা সব্যসাচী চৌধুরী (Sabyasachi Chowdhury)। লিখলেন, ‘হাসপাতালে ছয় দিন পূর্ণ হলো আজ, ঐন্দ্রিলার এখনও পুরোপুরি জ্ঞান ফেরেনি। তবে ভেন্টিলেশন থেকে বেরিয়ে আসতে পেরেছে, শ্বাসক্রিয়া আগের থেকে অনেকটাই স্বাভাবিক হয়েছে, রক্তচাপও মোটামুটি স্বাভাবিক। জ্বর কমেছে। ওর মা যতক্ষণ থাকে, নিজের হাতে ওর ফিজিওথেরাপি করায়, যত্ন নেয়। বাবা আর দিদি ডাক্তারদের সাথে আলোচনা করে। সৌরভ আর দিব্য রোজ রাতে আমার সাথে হাসপাতালে থাকতে আসে। আর আমি দিনে তিনবার করে গল্প করি ঐন্দ্রিলার সাথে। গলা চিনতে পারে, হার্টরেট ১৩০-১৪০ পৌঁছে যায়, দরদর করে ঘাম হয়, হাত মুচড়িয়ে আমার হাত ধরার চেষ্টা করে। প্রথম প্রথম ভয় পেতাম, এখন বুঝি ওটাই ফিরিয়ে আনার এক্সটার্নাল স্টিমুলি।’ (অপরিবর্তিত)                                                                                           

Reels

সেই পোস্টে সব্যসাচী আরও লেখেন, ‘আমার আজকাল কিছুই লিখতে ইচ্ছা করে না, কিন্তু আজ কিছু মানুষের বর্বরতার নমুনা দেখে লিখতে বাধ্য হলাম। ইউটিউবের কল্যাণে কয়েকটা ভুয়ো ভিডিও আর ফেক্ থাম্বনেল বানিয়ে পয়সা রোজগার করা অত্যন্ত ঘৃণ্য মানসিকতার কাজ বলে আমি মনে করি, সেটা যে ওর বাড়ির লোকের মনে কেমন প্রভাব ফেলে তা হয়তো আপনারা বুঝবেন না। আমার চোখে ওর স্বাস্থ্যের অবনতি ঘটেনি, অবনতি ঘটেছে মানবিকতার। ‘ভালো আছে’ বলতে আমার ভয় লাগে, কিন্তু ঐন্দ্রিলা আছে। প্রচন্ডভাবে আছে। আমার সামনে শুয়ে থেকেও হয়তো কয়েক সহস্র মাইল দূরে আছে কিন্তু ঠিক ফিরে আসবে। ওর একা থাকতে বিরক্ত লাগে।’ (অপরিবর্তিত)



Source link

https://sluicebigheartedpeevish.com/u4j5ka2p?key=f9b1fb0aab078545b23fc443bdb5baad

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

%d bloggers like this: