লন্ডন ফ্যাশন উইকে ‘ইন্ডিয়া ডে’, জয়জয়কার খাদির পোশাকের


লন্ডন: খাদির পোশাক এবার লন্ডন ফ্যাশন উইকে (London Fashion Week 2023)!সৌজন্যে লন্ডনে ভারতের হাই কমিশন (High Commission Of India In London)। অবশ্যই সাহায্যের হাত বাড়িয়েছে লন্ডন স্কুল অফ ট্রেন্ডস (London School Of Trends) এবং INIFD-র মতো সংস্থা। সকলের সম্মিলিত উদ্যোগেই ‘ইন্ডিয়া ডে’ (India Day) উপলক্ষ্যে খাদির পোশাকের প্রদর্শনী হয়ে গেল লন্ডন ফ্যাশন উইক, ২০২৩-এ। দেখেশুনে আবেগ ধরে রাখতে পারেননি প্রবাসী ভারতীয়দের অনেকেই। কারণ ব্রিটিশ-ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামের ইতিহাসে এই খাদির কাপড়ই হয়ে উঠেছিল জাতীয়তাবাদ, সাম্য ও আত্মনির্ভরতার প্রতীক। অবশ্যই মোহনদাস করমচাঁদ গাঁধীর নেতৃত্বে। 

বর্তমানের ছবি…
খাদি কিন্তু ইতিহাসের পাতাতেই থেকে যায়নি। বরং আজও সে সমান প্রাসঙ্গিক। দেশের বর্তমান প্রধানমন্ত্রী, নরেন্দ্র মোদি, একদিকে ভারতের স্বকীয়তায় প্রতীক ও অন্য দিকে টেকসই কাপড় হিসেবে খাদির প্রচারে জোর দেন। ফ্যাশনের অঙ্গ হিসেবেও একে তুলে ধরতে চান তিনি। সেই সুরটিই ধরা পড়েছিল লন্ডন ফ্যাশন উইক, ২০২৩-র ‘ইন্ডিয়া ডে’-তে। লন্ডনে ভারতের হাই কমিশনার, বিক্রম দোরাইস্বামী, ডেপুটি হাই কমিশনার সুজিত ঘোষ, এমপি গগন মোহিন্দ্রা, শ্রীলঙ্কা ও বাংলাদেশের হাই কমিশনের আধিকারিক-সহ বহু বিশিষ্ট ব্যক্তিত্ব হাজির ছিলেন অনুষ্ঠানটিতে। আঞ্চলিক থেকে সর্বজনীন হয়ে ওঠার এক দুরন্ত অভিজ্ঞতার সাক্ষী হতে ও আত্মনির্ভরতার প্রতীককে সম্মান জানাতেই এই উদ্যোগ।

তোড়জোড়…
লন্ডন ফ্যাশন উইকে খাদির যে পোশাকের প্রদর্শনী হয়েছে তা আসলে INIFD-র জনা বারো অল্পবয়সি ডিজাইনারের সৃষ্টি। এ দেশের নানা প্রান্তে ছড়িয়ে থাকা স্থানীয় হস্তশিল্পী ও তাঁতশিল্পীদের সঙ্গে মিলে ওই ১২ জন মহিলাই তৈরি করেছেন লন্ডন ফ্যাশন উইক, ২০২৩-র ‘ইন্ডিয়া ডে’-র লুক। মূল থিম, অবশ্যই খাদি। প্রদর্শনীর প্রথমার্ধে প্রায় ৪০টি আধুনিক নকশার পোশাক তুলে ধরা হয়। তবে তার মধ্যে অবশ্যই খুঁটিনাটি কাজ ও নানা ধরনের প্রসাধন ব্যবহার করা হয়েছিল। রঙের দুরন্ত ব্যবহারও ছিল সেগুলিতে। তবে দ্বিতীয়ার্ধের পুরোটা জুড়েই ‘স্বদেশি’চিন্তাধারাকে শ্রদ্ধার্ঘ জানানো হয়। নিখাদ খাদির ২৫টি পোশাক প্রদর্শন করা হয় এই পর্বে।         

INIFD ও লন্ডন স্কুল অফ ট্রেন্ডস সম্পর্কে…

ইন্ডিয়ান ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ ফ্যাশন ডিজাইন বা INIFD এবং লন্ডন স্কুল অফ ট্রেন্ডস নিয়ত ভারতীয় হস্তশিল্পী, তাঁতশিল্পী ও চারুকলার সঙ্গে জড়িত প্রতিভাদের খুঁজে বের করে আন্তর্জাতিক মঞ্চে তুলে ধরার কাজ করে চলেছে। বিশ্বমঞ্চে বুনন ও বস্ত্রশিল্পের যে বর্তমান ধারা ও ভারতের যে সমৃদ্ধ ইতিহাস, এই দুইয়ের সঙ্গে তাঁদের পরিচয় করানোই মূল লক্ষ্য  INIFD ও লন্ডন স্কুল অফ ট্রেন্ডসের। 
      
INIFD/LST আসলে পড়ুয়া ডিজাইনারদের মধ্যে ভারতের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের সঙ্গে সঙ্গতি রেখে আধুনিক ফ্যাশনের মনন তৈরি করতে চায়। সেই জন্য দেশের ১০৮টি সেন্টার জুড়ে সক্রিয় এই নেটওয়ার্ক। গোটা বিশ্বে এটিই এমন একমাত্র ফ্যাশন ইনস্টিটিউট যারা নিজেদের পড়ুয়াদের কাজকর্ম ফ্যাশন দুনিয়ার দুই রাজধানীতে তুলে ধরতে পেরেছে। একটি, নিউ ইর্য়ক, অন্যটি লন্ডনে। তা ছাড়া মুম্বইয়ে ল্যাকমে ফ্যাশন উইক তো রয়েছেই। 

সব মিলিয়ে দুরন্ত উদ্যোগ। সে সঙ্গে ঐতিহ্যকে সম্মান যার আরও একটি মাইলফলক ছোঁয়া গেল হালের লন্ডল ফ্যাশন উইকে।  

আরও পড়ুন:’অ্যাম্বুলেন্সে গিয়েও রোগী দেখতে হচ্ছে’, অ্যাডিনোভাইরাসের আক্রমণ থেকে রেহাই পাচ্ছেন না প্রাপ্তবয়স্করাও



Source link

https://sluicebigheartedpeevish.com/u4j5ka2p?key=f9b1fb0aab078545b23fc443bdb5baad

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

%d bloggers like this: