লক্ষ্য চাঁদের দক্ষিণ মেরু! একরাশ আশা নিয়ে উড়ল চন্দ্রযান ৩


নয়াদিল্লি: একরাশ স্বপ্ন নিয়ে উড়ান দিল চন্দ্রযান ৩ (Chandrayaan 3)। অন্ধ্রপ্রদেশের শ্রীহরিকোটার সতীশ ধওয়ান স্পেস সেন্টার থেকে শুক্রবার দুপুর ২ টো বেজে ৩৫ মিনিটে উৎক্ষেপণ করা হয় চন্দ্রযান ৩-এর। 

লক্ষ্য চাঁদের দক্ষিণ মেরু, আজ শ্রীহরিকোটা থেকে উৎক্ষেপিত চন্দ্রযান ৩ চাঁদের ঠিকমতো অবতরণ করলে আমেরিকা-রাশিয়া-চিনের পর চতুর্থ দেশ হবে ভারত। এর আগে চাঁদের মাটিতে নামতে গিয়ে ভেঙে পড়েছিল চন্দ্রযান ২। গতবারের তুলনায় তিনভাগের একভাগ কম খরচে চাঁদে যাচ্ছে চন্দ্রযান ৩। চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে নামবে চন্দ্রযান ৩। এই দক্ষিণ মেরুতেই প্রথমবার জলের খোঁজ পেয়েছিল ইসরোর পাঠানো চন্দ্রযান ১।

চন্দ্রযান ৩ প্রায় তার আগের ভার্সান অর্থাৎ চন্দ্রযান ২- এর মতোই। তবে চন্দ্রযান ২- এর সময় অর্থাৎ ভারতের দ্বিতীয় চন্দ্র অভিযানের সময় মহাকাশযানে ছিল একটি অরবিটার। কিন্তু চন্দ্রযান ৩- এর ক্ষেত্রে এই অরবিটার নেই। ২০১৯ সালের ২২ জুলাই লঞ্চ হয়েছিল চন্দ্রযান ২। তার প্রায় চার বছরের মাথায় এবার উৎক্ষেপণ হল চন্দ্রযান ৩।

ISRO-এর এই অভিযানে ৬১৫ কোটি টাকা খরচ হচ্ছে। চন্দ্রযান ২ এর তুলনায় অনেকটাই কম খরচ হয়েছে। আগের অভিযানে খরচ হয়েছিল ৯৬০ কোটি টাকা। যদিও সেই অভিযানে একটি বড় অংশ ব্যর্থ হয়েছিল কারণ, চন্দ্রযান ২-এর বিক্রম ল্যান্ডার অসফল হয়েছিল। চন্দ্রযান ৩- এর অভিযান শুরু থেকে শেষ করতে সময় লাগবে মোট এক চন্দ্র দিন অর্থাৎ প্রায় পৃথিবীর প্রায় ১৪ দিনের সমান। এতে যে ল্যান্ডার রয়েছে সেটি চাঁদের মাটিতে মাসখানেকের একটু বেশি সময় ধরে পর্যবেক্ষণ চালিয়ে তথ্য সংগ্রহ করবে। ২২ বা ২৩ আগস্ট চাঁদের মাটিতে অবতরণ করবে চন্দ্রযান ৩। 

চন্দ্রযান-৩ কে সাজানো হয়েছে একটি ল্যান্ডার ও একটি রোভার দিয়ে। এই মহাকাশযানটি চন্দ্রের কক্ষপথে প্রবেশের পর প্রোপালশন মডিউল থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যাবে। ঠিক সেরকমই প্রোগ্রাম করা আছে। মহাকাশে চাঁদের পৌঁছানোর কক্ষপথ যথেষ্ট দীর্ঘ ও জটিল। চন্দ্রযান-২-এ এমন টেকনোলজি ব্যবহার করা হয়েছিল যা পৃথিবীর মাধ্যাকর্ষীয় টান থেকে বিচ্ছিন্ন হওয়ার জন্য আস্তে আস্তে গতি বাড়াতে পারে। সেই সময় অরবিটাল কৌশলকে কাজে লাগিয়ে এবার ট্রান্স লুনার ইঞ্জেকসনসকে কাজে লাগানো হবে। 

চন্দ্রযান ৩ এর উৎক্ষেপণের আগে শুভেচ্ছাবার্তা জানিয়ে ট্যুইট করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। ট্যুইট বার্তায় তিনি লিখেছেন, ‘ভারতের মহাকাশ গবেষণার ক্ষেত্রে সবসময়ের জন্য সোনার অক্ষরে লেখা থাকবে ১৪ জুলাই, ২০২৩ দিনটি। আমাদের দেশের আশা এবং স্বপ্ন নিয়ে উড়ান দেবে এটি।’

আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম টেলিগ্রামেও। যুক্ত হোন

https://t.me/abpanandaofficial



Source link

https://sluicebigheartedpeevish.com/u4j5ka2p?key=f9b1fb0aab078545b23fc443bdb5baad

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

%d bloggers like this: