রাজতন্ত্রকে পুরোপুরি বর্জনের পথে! নোট থেকে বাদ পড়ছে রানির ছবি, সিদ্ধান্ত অস্ট্রেলিয়া সরকারের


সিডনি: পাঁচ মাস হতে চলল মারা গিয়েছেন ব্রিটেনের রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথ। এ বার মুদ্রা থেকে তাঁর ছবি সরাতে উদ্যত হল অস্ট্রেলিয়া (Australian Currency Notes)। এই মুহূর্তে অস্ট্রেলীয় ৫ ডলারের নোটে ছবি রয়েছে রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের (Queen Elizabeth II)। তার পরিবর্তে এ বার দেশীয় সংস্কৃতিকে মুদ্রায় তুলে ধরতে চায় অস্ট্রেলিয়া। তবে নকশা তৈরি না হওয়া পর্যন্ত, পুরনো নোট ব্যবহার করা যাবে।

অস্ট্রেলীয় ৫ ডলারের নোটে ছবি রয়েছে রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের

বুধবার রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ অস্ট্রেলিয়া এই সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছে। সরকারের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমেই তারা এই সিদ্ধান্তে উপনীত হয়েছে বলে জানানো হয়েছে। লিখিত বিবৃতিতে জানানো হয়ছে, নোটের এক পিঠে থাকবে অস্ট্রেলিয়ার পার্লামেন্টের ছবি। অন্য পিঠে দেশের সংস্কৃতি এবং ইতিহাসকে ফুটিয়ে তোলা হবে।

রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের মৃত্যুর পরই নোটে তাঁর ছবি রাখা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করে। আনুষ্ঠানিক ভাবে ব্রিটেনের রাজতন্ত্রের অধীনে থাকলে, দেশের ভবিষ্যৎ কী হবে, তা নিয়ে শুরু হয় তর্ক-বিতর্ক। রানির দ্বিতীয় এলিজাবেথের মৃত্যুতে অস্ট্রেলিয়াকে স্বতন্ত্র যাত্রা শুরু করতে হবে বলে দাবি ওঠে।

আরও পড়ুন: BJP on Budget: বাজেটের সুফল বোঝাতে ১২ দিন ধরে দেশজুড়ে প্রচার অভিযান চালাবে বিজেপি

তবে এই বিতর্ক নতুন কিছু নয়। ১৯৯৯ সালে এই নিয়ে গণভোটও হয় সেখানে। সে বার যদিও আনুষ্ঠানিক ভাবে রানিকে দেশের প্রধান রেখে দেওয়ার পক্ষে সমর্থন বেশি ছিল। কিন্তু রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের মৃত্যুর পর এই মুহূর্তে ব্রিটেনের রাজা তৃতীয় চার্লস। রীতি অনুযায়ী, অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড এবং কমনওয়েল্থ-এর অন্তর্ভুক্ত ১২টি দেশের আনুষ্ঠানিক প্রধানও তিনি।

২০২২-এর ৮ সেপ্টম্বর মারা যান ব্রিটেনের রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথ। তার পর ২২ সেপ্টেম্বরই অস্ট্রেলিয়া জানিয়ে দেয় যে, রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের মৃত্য়ু হয়েছে বলেই, তাঁর ছেলে নোটে জায়গা পাবেন, এমনটা হবে না। বরং অস্ট্রেলিয়ার কিংবদন্তিদের তাঁর জায়গায় নোটে রাখার কথা ভাবা হবে।

অস্ট্রেলিয়ার সরকারের দাবি, ব্রিটেনের রানি বলে নয়, ব্যক্তিত্বের জন্যই নোটে জায়গা পেয়েছিলেন দ্বিতীয় এলিজাবেথ। তবে নোট থেকে রানির ছবি সরানোর প্রক্রিয়া মোটেও সহজ নয়। তার জন্য গণভোট করাতে হবে আরও একবার। সংশোধন ঘটাতে হবে সংবিধানেও।

২০২১ সালে জাতীয় সঙ্গীতেও সংশোধন ঘটানো হয়

এর আগে, ২০২১ সালে জাতীয় সঙ্গীতে সংশোধন ঘটানো হয়। জাতীয় সঙ্গীত থেকে ‘তরুণ’ শব্দটি বাদ দেওয়া হয়। তা নিয়ে সে দেশের সরকারের যুক্তি ছিল, অস্ট্রেলিয়ার আদি বাসিন্দারা বিশ্বের প্রাচীনতম সভ্যতাগুলির মধ্যে অন্যতম।



Source link

https://sluicebigheartedpeevish.com/u4j5ka2p?key=f9b1fb0aab078545b23fc443bdb5baad

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

%d bloggers like this: