ম্যাচের ফল অন্যরকম হতো, ম্যাচ হেরে ফিল্ডিং নিয়ে হাহুতাশ ভুবনেশ্বরের


পারথ: টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে (T20 World Cup) দক্ষিণ আফ্রিকার কাছে ভারতের হারের নেপথ্যে দায়ী করা হচ্ছে ফিল্ডিংয়ের দুই ত্রুটিকে। ম্যাচে এইডেন মারক্রামের লোপ্পা ক্যাচ ফেলে দেন বিরাট কোহলি। পরে ডেভিড মিলারের সহজ রান আউটের সুযোগ নষ্ট করেন রোহিত শর্মা। মারক্রাম ও মিলারই ব্যাট হাতে ভারতের হাত থেকে ম্যাচ ছিনিয়ে নিয়ে যান।

ম্যাচের পর ভুবনেশ্বর কুমার বলেছেন, ‘ওই ক্যাচগুলি ধরে নিলে ম্যাচের ফল অন্যরকম হতো। যে ক্যাচ ফেলেছি, যে সুযোগ নষ্ট হয়েছে, আমার মনে হয় সেখানেই ম্যাচ ঘুরে গিয়েছে। বলছি না ওই মুহূর্তেই হেরে গিয়েছি। কিন্তু সুযোগগুলো কাজে লাগালে ম্যাচের ফল অন্যরকম হতো। তবে ম্যাচে এমন কোনও মুহূর্ত নেই যেখানে বলতে পারব সেই সময়ে ম্যাচের রাশ ওদের হাতে চলে গিয়েছিল।’

দুই কাঁটা

চলতি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে (T20 World Cup) প্রথম হারের স্বাদ পেল ভারত। দক্ষিণ আফ্রিকা ৫ উইকেটে হারিয়ে দিল টিম ইন্ডিয়াকে। ব্যাটিং বিপর্যয়ের মধ্যে সূর্যকুমার যাদবের মরিয়া লড়াইও ব্যর্থ হল। যদিও ম্যাচের পর দুটি সুযোগ নষ্ট নিয়ে আলোচনা শুরু হল ভারতীয় ক্রিকেট মহলে। বলাবলি শুরু হল, এই দুই সুযোগ নষ্টের খেসারত হিসাবে কি ম্যাচ হারতে হল টিম ইন্ডিয়াকে (Team India)?

দক্ষিণ আফ্রিকা ইনিংসের ১২তম ওভার। বোলার ছিলেন আর অশ্বিন। তাঁর ওভারের পঞ্চম বলে ডিপ মিড উইকেটে ক্যাচ তুললেন এইডেন মারক্রাম। তিনি তখন ব্যক্তিগতভাবে ৩১ বলে ৩৫ রানে ব্যাট করছিলেন। ডিপ মিড উইকেটে ফিল্ডিং করছিলেন কোহলি। ফিটনেসের দিক থেকে যিনি ভারতীয় দলের অন্যতম সেরা। ফিল্ডিংয়েও ক্ষিপ্র। অথচ কোহলি মারক্রামের লোপ্পা ক্যাচ ফেলে দেন। বোলার অশ্বিন যেন বিশ্বাসই করতে পারছিলেন না যে, এরকম ক্যাচ নষ্ট হতে পারে। তাও আবার কোহলির হাত থেকে। কোহলি নিজেও যেন বিশ্বাস করতে পারছিলেন না। তাকিয়ে ছিলেন শূন্য দৃষ্টিতে। তখনও ৫০ বলে ৭১ রান প্রয়োজন ছিল দক্ষিণ আফ্রিকার ও মারক্রাম ফিরলে তা বিরাট ধাক্কা হতো তেম্বা বাভুমাদের শিবিরে।

দ্বিতীয় সুযোগ নষ্ট ত্রয়োদশ ওভারে। বোলার মহম্মদ শামি। তাঁর দ্রুত গতির শর্ট বল কোনও মতে ব্যাটে ঠেকিয়েই সিঙ্গলস নিতে দৌড়েছিলেন ডেভিড মিলার। ২৪ বলে তখন তাঁর মাত্র ১৫ রান। কভার থেকে দৌড়ে গিয়ে বল ধরে আন্ডার আর্ম থ্রো করেন রোহিত। কিন্তু তা স্টাম্পে লাগেনি। রিপ্লেতে দেখা যায়, ফ্রেমেই ছিলেন না মিলার। এমনকী, রোহিত দৌড়ে গিয়েও স্টাম্প ভেঙে দিতে পারতেন।

শেষ পর্যন্ত মারক্রাম ৪১ বলে ৫২ রান করেন। মিলার ৪৬ বলে ৫৯ রান করে ম্যাচ জেতান প্রোটিয়াদের। দুই ফিল্ডিং ব্যর্থতাই কাঁটা হয়ে বিঁধল ভারতীয় শিবিরে।

আরও পড়ুন: কেকেআর পরিবারে না থাকলেও ইডেন প্রিয়, পারথের ফেভারিট বেছে নিলেন শুভমন



Source link

https://sluicebigheartedpeevish.com/u4j5ka2p?key=f9b1fb0aab078545b23fc443bdb5baad

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

%d bloggers like this: