মিলে গেল পরিণতি, টাইটানিক থেকে অনতিদূরে পড়েছিল দুমড়ে মুচড়ে, আনলান্টিকে খোঁজ মিলল টাইটানের


নয়াদিল্লি: শতবর্ষ পরেও জলের নীচে অমোঘ আকর্ষণ হয়ে রয়ে গিয়েছে (Titanic Tourism)। সেই অভিশপ্ত টাইটানিক দর্শনে গিয়েই মর্মান্তিক পরিণতি হয়েছে। আটলান্টিক মহাসাগরের নীচে সলিল সমাধি ঘটেছে পাঁচ জনের। তা নিয়ে বিশ্ব জুড়ে কাটাছেঁড়া চলছেই। সেই আবহেই আটলান্টিক থেকে তোলা হল ডুবোজাহাজ ‘টাইটান সাবমার্সিবল’-এর ধ্বংসাবশেষ (Titan Submersible)।

আটলান্টিক থেকে কানাডার নিউফাউন্ডল্যান্ড অ্যান্ড ল্য়াব্রাডরের বন্দরে তোলা হয় টাইটানের ধ্বংসাাবশেষ। জলের নীচে কী ভাবে বিস্ফোরণ ঘটল ডুবোজাহাজটিতে, তার কার্যকারণ খতিয়ে দেখতে ওই ধ্বংসাবশেষ থেকে সূত্র মিলতে পারে বলে আশাবাদী তদন্তকারীরা। আয়তনে প্রায় ২২ ফুট দীর্ঘ ছিল টাইটান। বুধবার জলের তোড়ে তার কিছু টুকরো ভেসে আসে কানাডা উপকূলে। 

এর পরই ভেসে আসা টুকরোগুলিকে ধরে আরও জোরকদমে তল্লাশি অভিযান শুরু হয়। কানাডার ‘হরাইজন আর্কটিক’ নামের একটি জাহাজ টাইটানের ধ্বংসাবশেষের খোঁজে নামে। রিমোট চালিত একটি যান নামানো হয় আটলান্টিকের গভীর জলে। একেবারে মহাসাগরের তলদেশ পর্যন্ত কার্যত খুঁড়ে ফেলা হয়। টাইটানিকের ধ্বংসাবশেষের কাছেও চলে তল্লাশি অভিযান। এর নেতৃত্বে ছিল Pelagic Research Services নামের একটি সংস্থা, আমেরিকার ম্যাসাচুসেটস এবং নিউইয়র্কে তাদের দফতর রয়েছে। রিমোট চালিত যানটিও তাদের। ওই যানই সন্ধান পায় টাইটানের ধ্বংসাবশেষের।

বুধবার ঘটনাস্থল থেকে যে ছবি সামনে এসেছে, তাতে দেখা গিয়েছে, ত্রিপলে ঢাকা রয়েছে টাইটানের ধ্বংসাবশেষ। মাঝে ফাঁকফোকর গলে চোখে পড়ে তুবড়ে যাওয়া বহিরাবরণ। প্রথমে ক্রেনের সাহায্যে জল থেকে তোলা হয় সেটি। তার পর লরিতে চাপিয়ে নিয়ে যাওয়া হয় বন্দর থেকে। গত ১০ দিন ধরে লাগাতার আটলান্টিকে তল্লাশি চলছিল টাইটানের খোঁজে। কর্মীরা অবশেষে বাড়ি ফিরতে পারবেন বলে জানানো হয়েছে উদ্ধারকার্য চালানো ওই সংস্থার তরফে।

আরও পড়ুন: HDFC-HDFC Bank Merger: সরাসরি SBI-এর সঙ্গে প্রতিযোগিতা, ১ জুলাই একত্রীকরণ, HDFC-র দিকে তাকিয়ে বাজার

আটলান্টিকের নীচে ঠিক কী ঘটেছিল, তার তদন্ত চলছে এই মুহূর্তে। উপকূল বাহিনী নেতৃত্ব দিচ্ছে তাতে। পাঁচ যাত্রীকে নিয়ে জলের নীচে কী করে বিস্ফোরণ ঘটল, কেন জলের নামার কিছু ক্ষণ পরই তার সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়, খতিয়ে দেখা হচ্ছে। ইলেকট্রনিক ডেটা থেকে সেই সংক্রান্ত তথ্য় মিলতে পারে বলে আশাবাদী তদন্তকারীরা। এই ধরনের ডুবোজাহাজের প্রত্যেক সরঞ্জামেই ডেটা সংরক্ষণের ব্যবস্থা থাকে। তবে বিস্ফোরণ ঘটে থাকলে সেই ডেটা পাওয়া নিয়ে সংশয়ও থাকে অনেক সময়।

এর আগে, গত সপ্তাহে আটলান্টিকের নীচে, ১২ হাজার ৫০০ ফুট গভীরে সন্ধান মেলে টাইটানের কিছু টুকরোর। টাইটানিকের ধ্বংসাবশেষ যেখানে পড়ে রয়েছে, সেখান থেকে দূরত্ব ছিল প্রায় ১ হাজার ৬০০ ফুট। অবশেষে সন্ধান মিলল টাইটানের সম্পূর্ণ ধ্বংসাবশেষের। ওই ডুবোজাহাজে সওয়ার পাঁচজনই প্রাণ হারিয়েছেন, যাকে ঘিরে তৈরি হয়েছে বিতর্ক। কোটি কোটি টাকা খরচ করে জলের নীচে টাইটানিক দেখতে যাওয়ার হিড়িক নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। প্রশ্নের মুখে টাইটানিক দর্শনের ব্যবসা চালানো সংস্থা ‘ওশিয়ানগেট’ও।



Source link

https://sluicebigheartedpeevish.com/u4j5ka2p?key=f9b1fb0aab078545b23fc443bdb5baad

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

%d bloggers like this: