‘মায়ের মতো চাটনি, পায়েস কেউ বানাতে পারবেন না’


কলকাতা: ছোটবেলার পুজো কাটত বরাহনগরে। মায়ের সঙ্গে পুজোর অঞ্জলি দিতে যেতেন। বাবা সেই সময়ে ছিলেন বরাহনগর মিউনিসিপ্যালিটির চেয়ারম্যান। পরবর্তীকালে বাবার শরীর খারাপ হলে, বাড়িতেই পুজোর অঞ্জলি দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়। সেই রীতি চলে আসছে এখনও। দুর্গাপুজোর সময় বাড়িতেই সময় কাটাতে ভালোবাসেন শিবপ্রসাদ মুখোপাধ্যায় (Shiboprshad Mukherjee)।

ছোটবেলায় বাড়িতে পুজোর সময় যাবতীয় রান্না করতেন মা । শিবপ্রসাদ বলছেন, ‘খিচুড়ি হোক বা অন্যান্য খাবার, পুজোর সময় যাবতীয় রান্না করতেন মা । আর যাই রান্না হোক, শেষ পাতে চাটনি বানাতেন মা । কখনও পায়েস । এখন বয়সের জন্য মা আর রান্না করতে পারেন না । মায়ের হাতের সেই রান্নাটা এখন খুব মিস করি ।’

প্রতিবছরই বাড়িতে বন্ধু, আত্মীয় সমাগম হয়, তবে এইবছর বিশেষ করে মায়ের জন্য সমস্ত আয়োজন করা হয়েছে বাড়িতেই । শিবপ্রসাদ বলছেন, ‘আমি খুব সকালে ঘুম থেকে উঠি । এইবছর একের পর এক ছবি মুক্তি নিয়ে ব্যস্ত থাকতে হচ্ছে। পুজোর পরে নতুন ছবির চিত্রনাট্যের কাজও চলছে । সকালে উঠে আমি একটু চিত্রনাট্যের কাজ নিয়ে বসি পুজোর দিনগুলোতেও । তারপরে একটু শরীরচর্চা । আর তারপর একেবারে পারিবারিক সময় । সকাল শুরু হয় লুচি আর সাদা আলুর তরকারি দিয়ে । দুপুরে খিচুড়ি । প্রচলন অনুযায়ী আমিষ খাওয়ার দিনে মেনুতে ইলিশ মাছ, পাঁঠার মাংস থাকে । এছাড়া সারাদিন বাড়িতে কখনও বেগুনি ভাজা হচ্ছে, কখনও আবার অন্য কিছু । সব মিলিয়ে পুজোয় খাওয়া দাওয়া মানেই নিয়ম ভাঙার গল্প ।’

আরও পড়ুন: Ishaa Saha: অভিনয়ের পর এবার প্লেব্যাকে ইশা?

পুজোয় মণ্ডপে মণ্ডপে ঘুরে ঠাকুর দেখার অভ্যাস নেই শিবপ্রসাদের । পরিচালক বলছেন, ‘আমাদের বাড়িতেই অঞ্জলি দেওয়া হয় । পুরোহিত মশাই এসে সমস্ত ব্যবস্থা করেন । পুজোর সময় একটা দিন ত্রিধারায় যাই কেবল । দেবাশীষদার সঙ্গে খুব ভালো সম্পর্ক । ওটাই আমার পাড়ার পুজো বলতে পারেন । এছাড়া সপ্তমীর দিন বাড়িতে একটা চণ্ডীপাঠের আয়োজন রয়েছে । ওটা নিয়েই সারাদিন কাটবে । মার যেন মনে হয়, পুজোটা বাড়িতেই হচ্ছে, এমন করে সমস্ত আয়োজন করা ।’

নবমীর দিনটা কাটে বন্ধুদের সঙ্গে । শিবপ্রসাদ বলছেন, ‘বাড়িতে নবমীর দিন সমস্ত বন্ধুরা আসে। ওই দিনটা শুধু বন্ধুদের জন্যই । আর কেনাকাটা? হেসে উঠে পরিচালক বললেন, ‘আমার কিছু কেনা হয়নি, তবে উপহার পেয়েছি প্রচুর । মাও দিয়েছেন, নন্দিতাদি, আমার শ্বশুরবাড়ি থেকেও দিয়েছেন।’

পুজো শেষ হলেই কাজ শুরু হয়ে যাবে পুরোদমে। বছরের শেষেই মুক্তি পাচ্ছে নতুন ছবি হামি ২ (Haami 2)। পুজোর সময় তাই আনন্দের পাশাপাশি অল্প কাজও ব্যস্ত থাকছেন শিবপ্রসাদ ।



Source link

https://sluicebigheartedpeevish.com/u4j5ka2p?key=f9b1fb0aab078545b23fc443bdb5baad

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

%d bloggers like this: