‘ভেবেছিলাম করোনা শেষ হয়ে গেছে, আবার তো হচ্ছে, অবস্থা বুঝে ব্যবস্থা’ সতর্কবার্তা মুখ্যমন্ত্রীর



কলকাতা : মহামারির নাগপাশ থেকে অবশেষে মুক্তি মিলেছিল বলেই মনে করতে শুরু করেছিল বিশ্ববাসী, তার মাঝেই ফের প্রবল ভয়ঙ্করভাবে ফিরেছে করোনা। চিনে এই মুহূর্তে কার্যত ত্রাহি ত্রাহি রব। আর কোভিডের উৎসদেশের পরিস্থিতি নিয়ে এবারে আগেভাগেই সতর্ক ভারত।

ইতিমধ্যে মাস্ক পরা থেকে শুরু করে একাধিক করোনাবিধি ফিরিয়ে আনা শুরু হয়ে গিয়েছে। মারণ ভাইরাসের দাপাদাপি আশঙ্কা মাথায় রেখে তৈরি রাজ্য সরকারও। তবে অবস্থা বুঝে ব্যবস্থা নেওয়ার পক্ষপাতী রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধান।

রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের সঙ্গে বড়দিনের প্রাক্কালে ঘণ্টাখানেক সাক্ষাতের পর রাজভবন থেকে বেরোনোর পথে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) বলেছেন,  ‘আমরা সবাই ভেবেছিলাম কোভিড শেষ হয়ে গেছে। কিন্তু চিনে তো আবার প্রবলভাবে হচ্ছে। পরিস্থিতির দিকে নজর রাখছি, অবস্থা বুঝে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’ বুধবারই নবান্নে উচ্চ পর্যায়ের নজরদারি গঠন করার নির্দেশ দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। সেইমতো স্বাস্থ্যসচিব সহ স্বাস্থ্য ও প্রশাসনের একাধিক গুরুত্বপূর্ণ সদস্যদের নিয়ে গঠিত হয়েছে রাজ্যের কোভিড নজরদারিতে উচ্চপর্যায়ের কমিটি। মুখ্যমন্ত্রী যা নিয়ে জানিয়েছেন, ‘কমিটি গঠন করা হয়েছে, কীভাবে সলভ করা যায় দেখা হচ্ছে।’

দিল্লি থেকে ইতিমধ্যে কেরল ছড়িয়ে পড়া নিয়ে আশঙ্কিত মুখ্যমন্ত্রীর কথায়, ‘দিল্লি থেকে কেরল কেস ধরা পড়েছে। বাংলাতেও আসতে পারে। কিন্তু যেহেতু এখনও কোনও কেস ধরা পড়েনি, তাই দেখে নিতে চাইছি। আসবেই এমনটা ধরে নিতে চাইছি না তবে পরিস্থিতির দিকে নজর রাখা হচ্ছে। ব্যবস্থা নেব।’

কোভিড আতঙ্ক তৈরির মাঝে বড়দিনের উৎসব ও তারপর গঙ্গাসাগর মেলা নিয়ে প্রশ্ন করা হলে মুখ্যমন্ত্রীর সাফ কথা, ‘বঙ্গে করোনা নেই বলেই তো মানুষ আবার উৎসবে সামিল হয়েছে। মানুষ তো উৎসব করবেনই। আর কোভিডের মধ্যেও সিস্টেম মেনে গঙ্গাসাগর মেলা আগেও হয়েছে। তবে সকলকে বলব মাস্ক পরুন।’

আরও পড়ুন- ফের চোখ রাঙাচ্ছে করোনা ! স্বাস্থ্য ভবনে বৈঠক

প্রসঙ্গত, ওমিক্রনের (Omicron) দাপটে কার্যত কেঁপেছিল গোটা বিশ্ব। ফের কোভিড নিয়ে যে উদ্বেগ তৈরি হয়েছে। তার পিছনেও রয়েছে ওমিক্রনেরই একটি সাবভ্যারিয়েন্ট। চিনে যে কোভিড সংক্রমণ বাড়ছে তার জন্য দায়ী ওমিক্রনের সাবভ্যারিয়েন্ট BF.7। সেই ভ্য়ারিয়েন্ট নাকি ইতিমধ্যেই ভারতে পাওয়া গিয়েছে। এদেশে এখনও পর্যন্ত অন্তত ৩ জনের খোঁজ পাওয়া গিয়েছে যাঁরা ওই সাব ভ্যারিয়েন্টে আক্রান্ত হয়েছেন। BF.7 ভ্যারিয়েন্টের প্রথম সংক্রমণ দেখা যায় গত অক্টোবরে মাসেই। গুজরাত বায়োটেকনোলজি রিসার্চ সেন্টারে প্রথম এটি শনাক্ত করা হয়। এখনও পর্যন্ত এই ভ্যারিয়েন্টে দুই আক্রান্তের খোঁজ মিলেছে গুজরাতে। একটি কেস পাওয়া গেছে ওড়িশায়। সূত্রের খবর, চিনের অধিকাংশ শহরে এখন মারাত্মক সংক্রামক ওমিক্রন স্ট্রেইন BF.7-এর থাবা। বেজিংয়েও এই ভ্যারিয়েন্টেরই প্রকোপ দেখা দিয়েছে।



Source link

https://sluicebigheartedpeevish.com/u4j5ka2p?key=f9b1fb0aab078545b23fc443bdb5baad

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

%d bloggers like this: