ভারতের সিরিজ জয়, পন্থের সফল অস্ত্রোপ্রচার, এক নজরে খেলার দুনিয়ার সব খবর



কলকাতা: শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে ৯১ রানে তৃতীয় টি-টোয়েন্টি ম্যাচ জিতে ২-১ টি-টোয়েন্টি সিরিজ জিতল ভারতীয় দল। মুম্বইয়ে সফলভাবে ঋষভ পন্থের হাঁটুর অস্ত্রোপ্রচার হল। এক নজরে খেলার সব খবর।

ভারতের সিরিজ জয়

শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে ভারতের জয়ের ধারা অব্যাহত। ঘরের মাঠে তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি (IND vs SL) সিরিজ ২-১ জিতল ভারত। ২২৯ রান তাড়া করতে নেমে ১৩৭ রানেই অল আউট হয়ে গেল শ্রীলঙ্কা। ৯১ রানে ম্যাচ জিতল ভারত। গত ম্যাচে নো বল করায় সমালোচনার শিকার হয়েছিলেন অর্শদীপ সিংহ (Arshdeep Singh), এই ম্যাচে তিন উইকেট নিয়ে সমালোচকদের যোগ্য জবাব দিলেন তিনি। সূর্যকুমার যাদব নিজের কেরিয়ারের তৃতীয় টি-টোয়েন্টি শতরান হাঁকান। তিনি ১১২ রানে অপরাজিত থাকেন।

ইস্টবেঙ্গলের হার

ফের ধাক্কা খেল ইস্টবেঙ্গল (East Bengal)। শনিবার ভুবনেশ্বরের কলিঙ্গ স্টেডিয়ামে ওড়িশা এফসি তাদের ৩-১ গোলে হারাল। দশ মিনিটের মধ্যে ক্লেটনের গোলে ইস্টবেঙ্গল এগিয়ে গেলেও ২২ মিনিটের মাথায় তা শোধ করে দেন জোড়া গোলের নায়ক, আর এক ব্রাজিলীয় দিয়েগো মরিসিও। তাদের দ্বিতীয় গোলটি পান নন্দকুমার শেখর।

মাস দুয়েক আগে লিগের প্রথম ম্যাচেও দু’গোলে এগিয়ে থেকে ২-৪-এ হেরেছিল লাল-হলুদ বাহিনী। এ বারও সেই একই ভাবে হারল তারা। শুরুর দিকে গোছানো ফুটবল খেললেও গোল খাওয়ার পর থেকে ছন্দ হারিয়ে ফেলে ম্যাচও হেরে বসে কলকাতার দল। এই হারের ফলে লিগ টেবলে নয় নম্বরে নেমে গেল তারা। এবং টানা চারটি ম্যাচে জয়হীন থাকা ওড়িশা এফসি জয়ে ফিরে পয়েন্ট টেবিলে এক ধাপ উঠে চলে গেল পাঁচ নম্বরে। 

সফল অস্ত্রোপ্রচার

ঋষভ পন্থের (Rishabh Pant) হাঁটুর অস্ত্রোপচার হল। মুম্বইয়ের কোকিলাবেন ধীরুভাই অম্বানি (Dhirubhai Ambani Kokilaben Hospital) হাসপাতালে শুক্রবার পন্থের ডান হাঁটুর লিগামেন্টে অস্ত্রোপচার হল। ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড সূত্রে (BCCI) খবর, সফল হয়েছে অস্ত্রোপচার। 

ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের এক কর্তা সংবাদসংস্থাকে বলেছেন, ‘শুক্রবার পন্থের হাঁটুর সফল অস্ত্রোপচার হয়েছে। আপাতত তাঁকে পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে। বিশেষজ্ঞ, ডক্টর দীনেশ পাড়দিওয়ালার তত্ত্বাবধানে পরবর্তী চিকিৎসা ও রিহ্যাবিলিটেশন পদ্ধতি চূড়ান্ত করা হবে। ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের স্পোর্টস সায়েন্স ও মেডিসিন টিম গোটা ব্যাপারটা পর্যবেক্ষণ করছে।’

সানিয়ার অবসর

ইঙ্গিত দিয়েছিলেন আগেই। এবার দিলেন সিলমোহর। চোট-আঘাত খারাপ ছন্দ ভোগাচ্ছিল দীর্ঘদিন। এবাার একেবারে টেনিস কোর্টকে বিদায় জানাচ্ছেন সানিয়া  মির্জা। আগামী মাসেই দুবাই টেনিস চ্যাম্পিয়নশিপই হতে চলেছ ভারতীয় টেনিস রানির দীর্ঘ কেরিয়ারের শেষ প্রতিযোগিতা। অবসর নিচ্ছেন ভারতীয় টেনিস তারকা সানিয়া মির্জা (Sania Mirza)। ১৯ ফেব্রুয়ারি থেকে দুবাই টেনিস চ্যাম্পিয়নশিপ শুরু হচ্ছে।                                                 

এর আগে গত বছর ইউএস ওপেন খেলে অবসর নেবেন বলে জানিয়েছিলেন হায়দরাবাদের টেনিস আইকন। পরে অবশ্য সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করেন। অবসরের কথা ঘোষণা করে সানিয়া জানিয়েছেন, “ঠিক করেছিলাম ইউএস ওপেন খেলেই অবসর নেব। কিন্তু চোটের কারণে সেটা সম্ভব হয়নি। ইউএস ওপেনের আগেই ডান কনুইয়ে আঘাত পাই। চোটের কারণে অবসর নিতে চাইনি। আর সত্যি কথা বলতে আমি নিজের ইচ্ছে অনুযায়ী করি। তাই অবসর নেওয়ার জন্য দুবাই টেনিস চ্যাম্পিয়নশিপকেই বেছে নিলাম। ৩৬ বছর বয়স হয়েছে। শরীর আর ধকল নিতে পারছে না। মানসিক ভাবেও আর চালিয়ে যাওয়া সম্ভব হচ্ছে না।” 

প্রধান নির্বাচক চেতন শর্মাই

ফের ভারতীয় ক্রিকেট দলের (Indian Cricket Team) প্রধান নির্বাচক করা হল চেতন শর্মাকে (Chetan Sharma)। শুক্রবার নতুন নির্বাচক কমিটির পাঁচ সদস্যের নাম ঘোষণা করে দিল ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড (BCCI)। জানানো হল, ১১ জন আবেদনকারীর ইন্টারভিউ নিয়ে এই পাঁচ সদস্য়কে বেছে নিয়েছে উপদেষ্টা কমিটির তিন সদস্য। উপদেষ্টা কমিটিতে রয়েছেন অশোক মলহোত্র, যতীন পরাঞ্জপে ও সুলক্ষণা নায়েক।

নতুন গঠিত নির্বাচক কমিটিতে চেতন শর্মার সঙ্গে পূর্বাঞ্চল থেকে রয়েছেন শিবসুন্দর দাস। যিনি ওড়িশার ক্রিকেটার। ভারতের হয়ে ২৩টি টেস্ট ও চারটি ওয়ান ডে ম্যাচ খেলেছেন। অনেকে ভেবেছিলেন বাংলা থেকে কেউ পূর্বাঞ্চলের দায়িত্ব পেতে পারেন। শোনা যাচ্ছিল বাংলার প্রধান নির্বাচক শুভময় দাস-সহ একাধিক নাম। কিন্তু শেষ পর্যন্ত ব্রাত্যই থাকল বাংলা। সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়কে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের প্রেসিডেন্ট পদ থেকে সরে দাঁড়াতে কার্যত বাধ্য করা হয়েছিল। নির্বাচক কমিটিতেও সুযোগ পেলেন না বাংলার কেউ।                                                                        

চেতন ও শিবসুন্দর ছাড়া নির্বাচক কমিটির বাকি তিন সদস্য হলেন সুব্রত বন্দ্যোপাধ্যায়, সলিল আঙ্কোলা ও শ্রীধরণ শরথ। এঁদের মধ্যে সুব্রত বাঙালি। সচিন তেন্ডুলকরের ঘনিষ্ঠ বন্ধু। এক সময় বাংলার হয়ে খেলেছেন। বিদর্ভের কোচ ছিলেন। তাঁর হাত ধরেই উমেশ যাদবের মতো এক ঝাঁক পেসার ভারতীয় ক্রিকেটে উত্থান ঘটিয়েছিলেন। সচিন-পুত্র অর্জুন তেন্ডুলকরেরও ব্যক্তিগত কোচ সুব্রত। প্রাক্তন পেসার ভারতের হয়ে একটি টেস্ট ও ৬টি ওয়ান ডে খেলেছেন।

আরও পড়ুন: ‘ক্রিকেট অনেক এগিয়ে গিয়েছে, ঘরোয়া টুর্নামেন্টে সফল হলেই জাতীয় দলে সুযোগ’

 



Source link

https://sluicebigheartedpeevish.com/u4j5ka2p?key=f9b1fb0aab078545b23fc443bdb5baad

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

%d bloggers like this: