ভারতীয় দলের ‘ভূত’ তাড়া করল বাংলাকেও, এই ড্র জয়ের সমান, বলছেন আত্মবিশ্বাসী মনোজ



সন্দীপ সরকার, কলকাতা: পুণে থেকে দেহরাদূনের দূরত্ব প্রায় ১৭০০ কিলোমিটার। কিন্তু পুণের গাহুঞ্জেতে মহারাষ্ট্র ক্রিকেট সংস্থার স্টেডিয়ামে ভারতীয় দলকে (Team India) তাড়া করেছে যে ‘নো’ বল ভূত, তা পিছু নিল বাংলা ক্রিকেটেরও (Bengal Cricket Team)।

পুণেতে শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে ৭টি নো বল করায় দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টি ম্যাচে ভুগতে হয়েছে টিম ইন্ডিয়াকে। ম্যাচ জিতে টি-টোয়েন্টি সিরিজে সমতা ফিরিয়েছে শ্রীলঙ্কা। রঞ্জি ট্রফিতে (Ranji Trophy) বাংলাকেও ভোগাল নো বল। উত্তরাখণ্ডের সঙ্গে বাংলার ম্যাচ ড্র হল। প্রথম ইনিংসে এগিয়ে থাকার সুবাদে তিন পয়েন্ট পেল বাংলা। এক পয়েন্ট গেল উত্তরাখণ্ডের ভাঁড়ারে। ৪ ম্যাচে ২০ পয়েন্ট নিয়ে রঞ্জি ট্রফির এলিট গ্রুপ এ-তে শীর্ষে রয়েছে উত্তরাখণ্ড। ১৯ পয়েন্ট নিয়ে দুইয়ে বাংলা।

ম্যাচের শেষে বাংলার অধিনায়ক মনোজ তিওয়ারির গলায় নো বল নিয়ে আক্ষেপ। দেহরাদূন থেকে শুক্রবার রাতেই কলকাতায় ফিরছে বাংলা দল। বিমান ধরার তাড়ার মধ্যেই এবিপি লাইভকে মনোজ বললেন, ‘আমাদের বোলাররা উত্তরাখণ্ডের প্রথম ইনিংসে দুটো নো বলে দুটো উইকেট নিয়েছিল। কিন্তু নো বলে বেঁচে যায় ব্যাটসম্যানেরা। পরে তারাই বড় স্কোর করে দেয়। নো বলের জন্যই কোণঠাসা করে ফেলেও উত্তরাখণ্ডকে ফলো অন করাতে পারিনি। তা নাহলে ম্যাচে সরাসরি জয়ের সম্ভাবনা ছিল।’

বাংলার প্রথম ইনিংসে ৩৮৭ রানের জবাবে উত্তরাখণ্ড তুলেছিল ২৭২। দ্বিতীয় ইনিংসে ২০৬/৭ তুলে ডিক্লেয়ার দেয় বাংলা। অভিমন্যু ঈশ্বরণ ৮২ রানে অপরাজিত ছিলেন। ৭২ রান করেন সুদীপ কুমার ঘরামি। দ্বিতীয় ইনিংসে উত্তরাখণ্ডকে ধাক্কা দিতে ব্যর্থ বাংলার বোলাররা। ২৩ ওভার বল করেও কোনও উইকেট তুলতে পারেনি বাংলা। উত্তরাখণ্ড তোলে বিনা উইকেটে ৬৯ রান। তারপরই দুই অধিনায়কের অনুমতিতে খেলা অমীমাংসিত ঘোষণা করা হয়। প্রথম ইনিংসে এগিয়ে থাকার সুবাদে ৩ পয়েন্ট পায় বাংলা।

মনোজ বলছেন, ‘এই ৩ পয়েন্ট আমাদের কাছে জয়ের সমান। কারণ, টানা তিন ম্যাচ জিতে এসেছিল উত্তরাখণ্ড। গ্রুপ শীর্ষে থাকা দলের বিরুদ্ধে তিন পয়েন্ট আদায় করে নিতে পেরেছি, এটা আমাদের নৈতিক জয়।’ যোগ করছেন, ‘এই ম্যাচ থেকে অনেক কিছু ইতিবাচক দিক খুঁজে পেয়েছি। যেমন অভিমন্যু ঈশ্বরণ, সুদীপ ঘরামিদের দুর্দান্ত ব্যাটিং। শাহবাজ আমেদ, পিপি (প্রদীপ্ত প্রামাণিক)-র বোলিং। সব মিলিয়ে ভাল ক্রিকেট খেলেছি আমরা। উত্তরাখণ্ডের চেয়ে অনেক ভাল ক্রিকেট খেলেছি।’

বাংলার পরের ম্যাচ বঢোদরার বিরুদ্ধে। ১০-১৩ জানুয়ারি। তবে ইডেনে ১২ জানুয়ারি ভারত-শ্রীলঙ্কা ম্যাচ থাকায় রঞ্জি ট্রফির ম্যাচ সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে কল্যাণীতে। সেখানে ৮ জানুয়ারি প্র্যাক্টিসে নেমে পড়বে বাংলা।

আরও পড়ুন: নো বল করা অপরাধ, শ্রীলঙ্কার কাছে ম্যাচ হেরে তোপ বিরক্ত হার্দিকের



Source link

https://sluicebigheartedpeevish.com/u4j5ka2p?key=f9b1fb0aab078545b23fc443bdb5baad

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

%d bloggers like this: