ভাইরাল ‘বেনাড্রিল চ্যালেঞ্জ’-এ গা ভাসাতে গিয়ে মৃত্যু ১৩ বছরের কিশোরের



নয়াদিল্লি: টিকটক ট্রেন্ডে (TikTok Trend) গা ভাসাতে গিয়ে প্রাণ গেল ১৩ বছরের কিশোরের। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের (USA) ওহায়োর (Ohio) ঘটনা। ওই কিশোর গা ভাসিয়েছিল ‘বেনাড্রিল চ্যালেঞ্জ’-এ (Benadryl Challenge)। ওভার-দ্য-কাউন্টার এই ওষুধের ওভারডোজের ফলেই মৃত্যু। কী এই চ্যালেঞ্জ? ঠিক কী করেছিলেন কিশোর?

টিকটক ট্রেন্ডে মজেছিলেন, প্রাণ গেল কিশোরের

‘বেনাড্রিল চ্যালেঞ্জ’ টিকটকের নতুন ট্রেন্ড। এতে মানুষ অ্যান্টিহিস্টামিনের বিশাল ডোজ নিয়ে হ্যালুসিনেট করেন। ওভার-দ্য-কাউন্টার ওষুধ অর্থাৎ যে ওষুধ কিনতে ডাক্তারের প্রেসক্রিপশন প্রয়োজন হয় না, সেই ওষুধ বেশি পরিমাণে খেয়ে অলীক দুনিয়ায় গা ভাসানোই চ্যালেঞ্জের মূল উদ্দেশ্য। আর এই কাণ্ড ঘটাতে গিয়েই মারা গেল বছর ১৩-র কিশোর। 

সদ্য প্রয়াত কিশোরের বাবা-মা এদিন সোশ্যাল মিডিয়ায় বারবার এই বিপজ্জনক ট্রেন্ড সম্পর্কে সকলকে সতর্ক করেছেন। জেকব স্টিভেন্স এই ট্রেন্ডে অংশ নিতে গিয়ে ১২ থেকে ১৪টা অ্যান্টিহিস্টামিন ট্যাবলেট খেয়ে ফেলেন, খবর পরিবার সূত্রে। এরপর প্রায় ১ সপ্তাহ ভেন্টিলেটরে ছিলেন কিশোর,

িন্তু শেষ রক্ষা হয়নি। 

স্থানীয় এক সংবাদ সংস্থাকে জেকবের বাবা জাস্টিন স্টিভেন্স জানিয়েছেন যে গত সপ্তাহে বন্ধুদের সঙ্গে বাড়িতেই ছিলেন তাঁর ছেলে, যখন সে ওষুধের ওভারডোজ খেয়ে ফেলে। কিশোরের বন্ধুদের শ্যুট করা একটি ভিডিওয় পরিষ্কার দেখা যায় যে ওষুধ খেয়ে সোশ্যাল মিডিয়া চ্যালেঞ্জ শেষ করার পরই জেকব অসুস্থ হতে শুরু করে। কিশোরের বাবার কথায়, ‘ওঁর শরীরের জন্য অত্যন্ত বেশি ছিল।’

এই ঘটনা ঘটার সঙ্গে সঙ্গে তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় এবং ভেন্টিলেশনে ভর্তি করা হয়। চিকিৎসকদের শত চেষ্টা সত্ত্বেও প্রাণ বাঁচেনি কিশোরের। ঘটনার ৬ দিন পর মৃত্যু হয় তাঁর। কিশোরের বাবার কথায়, ‘ওঁর জীবনের সবচেয়ে খারাপ দিন’। ছেলের শোকে পাথর বাবা। তাঁর কথায়, ‘কোনও ব্রেন স্ক্যান হয়নি, কিছু ছিল না ওখানে। ওঁরা বললেন ছেলেকে ভেন্টিলেশনে রাখতে পারি, সেখানে কেবল শুয়ে থাকবে – কিন্তু ও কখনও চোখ খুলবে না, কখনও নিঃশ্বাস নেবে না, হাসবে না, হাঁটবে না বা কথাও বলবে না।’ 

আরও পড়ুন: Happy Birthday KL Rahul: কে এল রাহুলের জন্মদিনে প্রাণ ভরে আশীর্বাদ শ্বশুর সুনীল শেট্টির

জেকবের ঠাকুমা এক স্থানীয় টিভি চ্যানেলকে বলেন, ‘যাতে আর কোনও শিশু এই পরিস্থিতির সম্মুখীন না হয় তা নিশ্চিত করতে আমাকে যা করতে হয় করব।’ 

জেকবের পরিবার বেনাড্রিলের মতো ওষুধ কেনার ক্ষেত্রে বয়সের সীমাবদ্ধতার জন্য আইন প্রণেতার কাছে পৌঁছনোর চেষ্টা করছে। জাস্টিন বলেন, ‘আমি ইতিমধ্যেই মিস্টার ডিওয়াইনকে মেসেজ করেছি। এই কাজটা করাই আমার জীবনের উদ্দেশ্য এখন। আমার মৃত্যু পর্যন্ত এই কাজটা করার চেষ্টা করে যাব।’ 

আগামী সপ্তাহে জেকবের শেষকৃত্য সম্পন্ন হবে।



Source link

https://sluicebigheartedpeevish.com/u4j5ka2p?key=f9b1fb0aab078545b23fc443bdb5baad

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

%d bloggers like this: