‘ব্রিকস’ শীর্ষবৈঠকে যোগ দিতে দক্ষিণ আফ্রিকায় মোদি, দুরন্ত অভ্যর্থনা ভারতের প্রধানমন্ত্রীকে


কেপ টাউন: ‘ব্রিকস’ (BRICS) শীর্ষবৈঠকের মাঝে কি ‘চিনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের (XI Jinping) সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক আলোচনার টেবিলে বসতে পারেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Narendra Modi? স্পষ্ট হতে পারে আগামী তিন দিনে। মঙ্গলবার থেকে শুরু হওয়া তিন দিনের শীর্ষবৈঠকে যোগ দিতে এদিন সন্ধ্যায় (ভারতীয় সময় অনুযায়ী) দক্ষিণ আফ্রিকা পৌঁছন প্রধানমন্ত্রী মোদি। বিমানবন্দরে তাঁকে অভ্যর্থনা জানাতে আসেন দক্ষিণ আফ্রিকার ডেপুটি প্রেসিডেন্ট পল শিপোকোসা মাসাতিলে। 

এখনও পর্যন্ত  …
এদিন জোহানেসবার্গের হোটেলে প্রবাসী ভারতীয়রা জাঁকজমকপূর্ণ অভ্যর্থনা জানান প্রধানমন্ত্রী মোদিকে। তার আগে, বিমানবন্দরে নেমেই অবশ্য আপ্লুত হয়ে গিয়েছিলেন তিনি। সেখানে তাঁকে স্নিগ্ধ ভাবে স্বাগত জানানো হয়। এর পরই জোহানেসবার্গের স্বামীনারায়ণ মন্দিরে যান প্রধানমন্ত্রী মোদি। এই মন্দির তৈরির কাজ ২০২৫ সালে শেষ হওয়ার কথা। সেখান থেকে, হোটেলে পৌঁছনোর পর প্রবাসী ভারতীয়দের কাছ থেকে দুরন্ত অভ্যর্থনা পান তিনি। হাতে ‘রাখি’ পরানো হয় তাঁকে। পরে সেখান থেকেই ‘ব্রিকস বিজনেস ফোরাম’-এ যোগ দেন। 

বিশ্বের নজরে? 
২০১৯ সালের পর এই প্রথম ‘ব্রিকস’ শীর্ষবৈঠকে সশরীরে উপস্থিত থাকছেন রাষ্ট্রপ্রধানরা। কোভিড-অতিমারির জন্য এর আগের শীর্ষবৈঠকগুলি ভার্চুয়াল মাধ্য়মে রয়েছে। সে দিক থেকে ব্রাজিল, রাশিয়া, ভারত, চিন এবং দক্ষিণ আফ্রিকার এই শীর্ষবৈঠকের আলাদা তাৎপর্য তো থাকছেই। তবে গত কয়েক বছরে আন্তর্জাতিক কূটনীতির ছবি যে ভাবে বদলেছে, সে দিক থেকেও এবারের সম্মেলন অত্য়ন্ত তাৎপর্যপূর্ণ হতে পারে। বিশেষত, মোদি-জিনপিং দ্বিপাক্ষিক বৈঠক হচ্ছে কিনা, তা নিয়ে আলাদা উৎসাহ থাকবে ভারতীয় উপমহাদেশ ও পশ্চিমি দুনিয়ার। গত কাল অর্থাৎ সোমবার এই বৈঠকের ব্য়াপারে প্রশ্ন করা হলে বিদেশসচিব বিনয় কাওয়াত্রা বলেন, ‘ব্রিকসের পরিসর বাড়ানোর ব্যাপারে আমরা উদার ভাবনাচিন্তা এবং ইতিবাচক মনোভাব নিয়ে এগোচ্ছি।’ তিনি আরও জানিয়েছিলেন, শীর্ষবৈঠকের তিন দিন প্রধানমন্ত্রীর কর্মসূচি ‘তৈরি হচ্ছে’।
২০২০ সালে গালওয়ান সংঘর্ষের পর থেকে ভারত-চিন সম্পর্কে অভূতপর্ব অবিশ্বাস দানা বাঁধে। অজস্র এবং বহুস্তরীয় আলোচনায় দু’তরফের উত্তেজনা কিছুটা কমলেও দ্বিপাক্ষিক বিশ্বাসের ভিত এখনও যে শক্ত নয়, সেটা গোপন নেই। একই সঙ্গে ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে চিনা নৌসেনার শক্তি বৃদ্ধি শুধু যে ওই এলাকা নয়, গোটা বিশ্বের ভূ-রাজনৈতিক ভারসাম্য বিঘ্নিত করত পারে, সে আশঙ্কা গত কয়েক বছর ধরেই করছে আন্তর্জাতিক মহল। সবটা মিলিয়ে মোদি-জিনপিং দ্বিপাক্ষিক বৈঠকের দিকে নজর রাখছে গোটা বিশ্ব। 

আরও পড়ুন:অশ্লীল ভাষায় কবিতা, দিন-রাত দৌরাত্ম্য! আবাসিকদের একাংশের বিরুদ্ধে অভিযোগ স্থানীয়দের

 



Source link

https://sluicebigheartedpeevish.com/u4j5ka2p?key=f9b1fb0aab078545b23fc443bdb5baad

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

%d bloggers like this: