বেলেঘাটা আইডি-তে মৃত্যু বৃদ্ধের, প্রাণ কাড়ল কোভিড নিউমোনিয়া? ইঙ্গিত স্বাস্থ্য ভবনের



ঝিলম করঞ্জাই, কলকাতা: ফের কলকাতায় করোনা-আক্রান্তের (corona patient death) মৃত্যু। বেলেঘাটা আইডি হাসপাতালে (Beliaghata ID Hospital) মারা যান দমদমের বাসিন্দা। তাঁর বয়স ৮০ বছর। স্বাস্থ্য় ভবন সূত্রে খবর, কোভিড নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত ছিলেন তিনি। 

যা জানা গেল…
গত কাল রাত ১১টা নাগাদ ৮০ বছর বয়সী ওই বৃদ্ধের মৃত্যু হয়। তাঁকে নিয়ে এই পর্যায়ে দ্বিতীয় কোভিড-আক্রান্তের মৃত্যু হয়েছে। ১৯ এপ্রিল তিনি হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন। একাধিক কো-মর্বিডিটি ছিল তাঁর, খবর হাসপাতাল সূত্রে। আইডি সূত্রে আরও খবর, এই মুহূর্তে সেখানকার আইসিইউ-তে আরও পাঁচ জন চিকিৎসাধীন রয়েছেন যাঁদের অবস্থা সঙ্কটজনক। এঁদের প্রত্যেকেরই বয়স ষাটের উপরে। প্রসঙ্গত, রাজ্য সরকার এর মধ্যেই একাধিক কোভিড-সতর্কতা দিয়েছে। বিশেষত শিশু ও বয়স্ক ব্যক্তিদের জনবহুল এলাকা এড়িয়ে চলা, ভিড়ে গেলে মাস্ক ব্যবহার করার মতো নিয়মের কথা মনে করিয়েছে স্বাস্থ্য দফতর। কারও যদি জ্বর, সর্দি, কাশি থাকে, তা হলে কোভিড টেস্ট করানোর পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। পজিটিভ এলে এক সপ্তাহ হোম-আইসোলেশনের কথাও বলেছে স্বাস্থ্য দফতর। এদিকে গোটা দেশেই লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে করোনা আক্রান্তের সংখ্য়া। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য় মন্ত্রক সূত্রে খবর, ভারতে একদিনে আক্রান্ত কোভিড আক্রান্ত ১১ হাজার ৬৯২ জন। অ্য়াক্টিভ রোগীর সংখ্য়া ৬৬ হাজার ১৭০। গত ২৪ ঘণ্টায় ২৮ জনের করোনায় মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে ৯ জন কেরলের বাসিন্দা। ফলে সব মিলিয়ে ভারতে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫,৩১, ২৫৮। শুক্রবার কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের দেওয়া তথ্য অনুসারে,  এখনও পর্যন্ত দেশে কোভিড আক্রান্তের সংখ্যা নথিভূক্ত করা হয়েছে ৪.৪৮ কোটি । দেশে সক্রিয় কোভিড কেসের সংখ্যা  মোট সংক্রমণের 0.১৫ শতাংশ । বর্তমানে কোভিড থেকে সুস্থ হয়ে ওঠার হার  ৯৮.৬৭ শতাংশ।  বৃহস্পতিবার যা হিসেব ছিল তাতে দেখা যায় তার আগের ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্ত হয়েছেন ১২ হাজার ৫৯১ জন, যা আগের ৮ মাসে সর্বাধিক। লাফিয়ে বাড়ছে সক্রিয় আক্রান্তের সংখ্যা। এই মুহূর্তে দেশে সক্রিয় রোগীর সংখ্যা ৬৫ হাজার ২৮৬। আগের ২৪ ঘণ্টায় করোনায় মৃত্যু হয়েছে ৪০ জনের।

ভ্যারিয়্যান্ট…
এবারের বাড়বাড়ন্তের নেপথ্যে রয়েছে নভেল করোনাভাইরাসের নয়া ভ্যারিয়্যান্ট XBB.1.16। শুধু প্রাপ্তবয়স্কদের মধ্যে নয়, এই ভ্যারিয়েন্টটি XBB.1.16.1 শিশুদের মধ্যেও পাওয়া যাচ্ছে, যার অন্যতম নতুন উপসর্গ চোখ লাল হওয়া।চিকিত্সকরা মনে করছেন, কোভিড-19-এর নতুন রূপ XBB.1.16.1 Omicron ভ্যারিয়েন্টের একটি সাব – ভেরিয়েন্ট। এটি দ্রুত ছড়ায়। অনেক বেশি সংক্রামক। তাই এর দাপট এড়াতে, ট্রিপল লেয়ার মাস্ক পরার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা ।

আরও পড়ুন:জোটেনি অ্যাম্বুল্যান্সের টাকা, ট্রেনে রোগীকে নিয়ে যাওয়ার পথে স্টেশনেই মৃত্যু, ভাতারে ফিরল জলপাইুড়ির মর্মান্তিক ঘটনা



Source link

https://sluicebigheartedpeevish.com/u4j5ka2p?key=f9b1fb0aab078545b23fc443bdb5baad

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

%d bloggers like this: