বিশ্বের যে কোনও দলের বিরুদ্ধে খেলতে প্রস্তুত, ইতিহাস তৈরি করে হুঙ্কার মরক্কো গোলরক্ষকের


দোহা: কোয়ার্টার ফাইনালে পর্তুগালকে (Morocco vs Portugal) হারিয়ে বিশ্বকাপে ইতিহাস সৃষ্টি করেছে মরক্কো দল। প্রথম আফ্রিকান দেশ হিসাবে বিশ্বকাপের শেষ চারে পৌঁছল মরক্কো। এখনও অবধি চলতি বিশ্বকাপে একটি গোল হজম করতে হয়নি মরক্কো দলকে (Morocco Football Team)। সেমিফাইনালে পৌঁছে উচ্ছ্বসিত মরক্কো গোলরক্ষক ইয়াসিন বুনু (Yassine Bounou)। 

স্বপ্নে হলেও সত্যি

বুনুর মতে তাঁরা একটা গোটা প্রজন্মের চিন্তাধারা বদলাতে সক্ষম হয়েছেন এবং মরক্কো বিশ্বের যে কোনও দলের বিরুদ্ধেই মাঠে নামতে প্রস্তুত। তিনি বলেন, ‘আমি তো স্বপ্ন দেখছি বলে মনে হচ্ছে। বিশ্বের যে কোনও দলের বিরুদ্ধে আমরা খেলতে প্রস্তুত। আমাদের পরের গোটা প্রজন্মের চিন্তাধারা বদল করতে আমরা সক্ষম হয়েছি। ওরা বিশ্বাস করতে পারবে যে মরক্কো ফুটবলাররা মাঠে অলৌকিক কিছু ঘটাতে সক্ষম।’

ম্যাচের হালহকিকত

News Reels

এদিনের ম্যাচেও শুরুতে রোনাল্ডোকে বসিয়েই একাদশ সাজিয়েছিলেন ফার্নান্দো স্যান্তোস। আগের ম্যাচের নায়ক রামোস এদিন যদিও পুরো ব্যর্থ। প্রথমার্ধেই উল্টো গোল হজম করতে হয়। ম্যাচের ৪২ মিনিটের মাথায় ইউসুফ এনিসিরি গোলে এগিয়ে যায় মরক্কো। দ্বিতীয়ার্ধে দ্রুত রোনাল্ডোকে মাঠে নামান স্যান্তোস। সি আর সেভেন মাঠে নামার পর পর্তুগালের খেলায় গতি ফিরলেও মরক্কোর শক্তিশালী ডিফেন্স ভেদ করে গোল করাটা একপ্রকার অসাধ্য ছিল পর্তুগালের কাছে।

ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডোর কাছে এটাই ছিল শেষ বিশ্বকাপ। কিন্তু ট্রফি অধরাই থেকে গেল ২০০৬ সাল থেকে বিশ্বকাপের মঞ্চে কোনওবারই কোয়ার্টার ফাইনালে গোল করতে পারেননি রোনাল্ডো। এবারও পারলেন না। দেশের জার্সিতে ১৯৬ ম্যাচ খেলতে নেমে রেকর্ড তো গড়লেন, কিন্তু ম্যাচ শেষে চোখের জলেই বিদায় নিতে হল পর্তুগিজ সুপারস্টারকে। । ৯৩ মিনিটের মাথায় লাল কার্ড দেখেন মরক্কোর ছেদিরা। আফ্রিকার দলটি ১০ জনে নেমে গেলেও গোলের দরজা খুলতে পারেননি রোনাল্ডোরা। 

ক্ষুব্ধ পেপে

মরক্কো-পর্তুগাল ম্যাচের দায়িত্ব এক আর্জেন্তাইন রেফারিকে দেওয়া নিয়ে ক্ষুব্ধ পেপে। তাঁর মতে আর্জেন্তাইন রেফারি ফাকুন্দো টেলোকে এই ম্যাচের দায়িত্ব দেওয়া একেবারেই উচিত হয়নি। ম্যাচ শেষে ক্ষুব্ধ পেপে বলেন, ‘কালকে মেসি মুখে খুলেছিলেন এবং তারপরেই আজ ম্যাচের দায়িত্ব পান এক আর্জেন্তাইন রেফারি। এক আর্জেন্তিনার রেফারিকে এই ম্যাচের দায়িত্ব দেওয়াটা একেবারেই মেনে নেওয়া যায় না। দ্বিতীয়ার্ধে তো কিছুই (ফাউল) দেওয়া হয়নি এবং মাত্র আট মিনিট স্টপেজ দেওয়া হয়। আট মিনিটের বেশিরভাগ সময় তো খেলাই হয়নি। আমাদের দলে ম্যাচ জেতার যথেষ্ট দক্ষতা আছে। তবে আমরা দুর্ভাগ্যবশত এই ম্যাচ জিততে পারলাম না।’ পেপে নিজের কথার মাধ্যমে সরাসরি না হলেও, মেসি-রোনাল্ডোর যে চিরাচরিত ফুটবল যুদ্ধ সেইদিকে ইঙ্গিত করেই আর্জেন্তাইন রেফারিকে ম্যাচের দায়িত্ব দেওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন। 

আরও পড়ুন: বিশ্বকাপ জ্বরে কাবু গোটা বিশ্ব, ফুটবল নিয়ে মাঠে নেমে পড়লেন সচিনও



Source link

https://sluicebigheartedpeevish.com/u4j5ka2p?key=f9b1fb0aab078545b23fc443bdb5baad

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

%d bloggers like this: