কলকাতা: রাত পেরোলেই বড়দিন। ইতিমধ্যেই সেজে উঠেছে শহর (Kolkata)। কী বলছে রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতরের কোভিড বুলেটিন গ্রাফ (Covid 19 Graph) ? রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের ২৪ ডিসেম্বরের বুলেটিনের তথ্য অনুযায়ী, জানা গিয়েছে, এই মুহূর্তে রাজ্যে কোভিড পজিটিভ ৬ জন।
উৎসবের মরসুমে (Fesival) যখন মানুষ রাঙিয়ে উঠেছে, তখনই সাবধান বার্তা এল সারা দেশে। সতর্ক কেন্দ্র- রাজ্যও। কারণ ইতিমধ্যেই চিন , জাপান, আমেরিকা-সহ একাধিক দেশে কামড় বসিয়েছে করোনা। সেক্ষেত্রে কোথায় দাঁড়িয়ে কলকাতা-সহ সারা বাংলা ? রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের ২৪ ডিসেম্বরের বুলেটিনের তথ্য অনুযায়ী, জানা গিয়েছে, এই মুহূর্তে রাজ্যে কোভিড পজিটিভ ৬ জন। সংখ্যা দুই অঙ্কের নিচে হলেও ভাবাচ্ছে স্বাস্থ্য দফতরকেও। কারণ যেভাবে হুড়হুড়িয়ে বাড়ছে সংক্রমণ একাধিক দেশে, তাই আচমকা দেশেও যদি সেআকারে কোভিডের ঢেউ আছড়ে পড়ে, তাহলে কী পরিস্থিতি হবে ? আবার সেই হাসপাতালে ভর্তি হওয়া নিয়ে হন্যে হওয়া অভিভাবকদের ছবি উঠে আসবে নাতো ? শুরু হবে না অক্সিজেন ক্রাইসিস ? যদিও গতবছর রাজ্যে অক্সিজেন প্ল্যান্ট তৈরির উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল। তবুও আতঙ্ক ধরাচ্ছে করোনার জিনগত ভ্যারিয়েন্ট। কারণ তার উপরেই নির্ভর করবে আক্রান্ত রোগীর আরোগ্যর জন্য প্রকৃত কী প্রয়োজন ? সেই সঙ্গে আরও বড় প্রশ্ন উঠছে বুস্টার ডোজ পেয়েছেন কতজন ? । স্বাস্থ্য দফতরের বুলেটিনের তথ্য বলছে গত ১৮ ডিসেম্বর কোভিড শূন্য হয়েছিল সারা বাংলা। সেসময় হাসপাতালে ছিল মাত্র ২ জন। কিন্তু ২৪ ডিসেম্বরের বুলেটিনে বদলাল সেই গ্রাফ।
WB COVID-19 Daily Health Bulletin: 24 December 2022. A detailed snapshot of all relevant details on COVID-19 in WB. Keep checking.
পশ্চিমবঙ্গ কোভিড-১৯ দৈনিক স্বাস্থ্য বুলেটিন: ২৪ ডিসেম্বর ২০২২। পশ্চিমবঙ্গের কোভিড-১৯ সম্পর্কিত বিস্তারিত তথ্য পেতে নজর রাখুন। #BengalFightsCorona pic.twitter.com/oU7Ay9g8YA
— Department of Health & Family Welfare, West Bengal (@wbdhfw) December 24, 2022
আরও পড়ুন, বড়দিনের আগে মহাসমারহে যিশু পুজো বেলুড়মঠে
অপরদিকে, ২৪ ডিসেম্বরের বুলেটিন অনুযায়ী তথ্য বলছে, রাজ্যে কোভিড পজিটিভ হয়েছেন ২১, ১৮,৫৭১ জন। যদিও এটা পশ্চিমবঙ্গের মোট জনসংখ্যার কাছে খুবই কম। তাই এনিয়েও চিন্তায় থাকে স্বাস্থ্য দফতর। কারণ যখনও কোভিড আছড়ে পড়ে প্রায় প্রতিটা পরিবারে প্রভাব ফেলছে, সেসময় ঠিক কতজন প্রকৃতই কোভিড টেস্ট করাচ্ছেন ? কোভিড পজিটিভের সংখ্যা বাড়ুক এটা কখনই কাম্য নয়। কিন্তু এটা যেহেতু সংস্পর্শে হয়, তাই উপসর্গ এলে সরকারি হাসপাতালে টেস্ট করিয়ে নেওয়াটা জরুরী। রোগ চেপে রাখার থেকে রোগ জেনে নিয়ে আরোগ্যর পথে হাটা, বিজ্ঞানসম্মত বলেই দাবি বিশেষজ্ঞদের।