ফের ভূমিকম্পে কেঁপে উঠল তুরস্কের মাটি, বিপর্যয়ের ১০ দিন পরও পাওয়া যাচ্ছে প্রাণের সাড়া


গাজিয়ানটেপ : ভয়াবহ ভূমিকম্প। এমন ভয়ঙ্কর বিপর্যয় কখনও দেখেনি তুরস্ক। পেরিয়ে গিয়েছে ১১ দিন। তবে এখনও ধ্বংসস্তূপেপ নিচ থেকে মিলছে প্রাণের স্পন্দন। মৃতের সংখ্যা আকাশ স্পর্শ করলেও আশ্চর্যভাবে বেঁচে রয়েছেন কেউ কেউ। ধ্বংসস্তূপের নিচেই। এমনই অবিশ্বাস্য ঘটনা প্রত্যক্ষ করছেন উদ্ধারকারীরা। 

এখনও  প্রাণের সাড়া

প্রবল ভূমিকম্পের ১০ দিন পর  ধ্বংসস্তূপ থেকে দুই নাবালক সহ  আরও তিনজনকে অবিশ্বাস্যভাবে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে। গত ৬ ফেব্রুয়ারি ভূমিকম্পে ধূলিসাৎ হয়ে যায় তুরস্ক ও সিরিয়ার বিরাট এলাকা।  ২৪৮ ঘন্টা পরে বৃহস্পতিবার তুরস্কের ধ্বংসস্তূপ থেকে জীবিত উদ্ধার করা হয় ১৭ বছর বয়সী আলেনা ওমেজকে । “অলৌকিক মেয়ে” বলে এখন ডাকা হচ্ছে তাঁকে। “তিনি সুস্থ অবস্থায় আছেন বলে মনে হচ্ছে। তিনি চোখ খুলেছিলেন এবং বন্ধ করেছিলেন।” বলছেন উদ্ধারকারী দলের এক যুবক। তিনি বলেন, “আমরা এখানে এক সপ্তাহ ধরে এই বাড়িটিতে কাজ করছি… এখনও কারো আওয়াজ শোনার আশায় আছি। … যখনই আমরা একটি জীবন্ত  প্রাণের সন্ধান পাই – এমনকী একটি বিড়ালকেও উদ্ধার করতে পারি, আমরা খুব খুশি হই।” 

তাঁকে উদ্ধারের পরেই উদ্ধারকারী দল ধ্বংসস্তূপ থেকে নেসলিহান কিলিক নামে বছর তিরিশের এক যুবককে বের করে এনেছে।   জীবন্ত উদ্ধার হয়েছেন ১২ বছরের ওসমানও। প্রাণ নিয়ে বের হতে পারছেন যাঁরা, তাঁরাই জানান, আরও অনেকেই ধ্বংসস্তূপের নিচে এখনও বেঁচে। দিনকয়েক আগে উদ্ধার করা হয় এক মা ও শিশুকে।   

  

ফের ভূমিকম্প

বিপর্যয়ের রেশ কাটতে না কাটতেই ফের ভূমিকম্পে কেঁপে উঠল তুরস্কের মাটি। ভারতীয় সময় অনুযায়ী রাত ১ টা ১০ নাগাদ কম্পন অনুভূত হয়। রিখটার স্কেলে কম্পনের মাত্রা ৫.১। তুরস্ক ও সিরিয়ায় লাফিয়ে বাড়ছে মৃতের সংখ্যা। ৬ ফেব্রুয়ারি ভয়াবহ ভূমিকম্পে এখনও পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে ৪৩ হাজারের বেশি মানুষের। তারপর থেকে লাগাতার কম্পনের মুখে পড়ছে তুরস্ক। রবিবার, সেখানে ত্রাণ পরিস্থিতি দেখতে যাবেন মার্কিন বিদেশ সচিব অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন।            

বৃহস্পতিবার বিচারবিভাগীয় মন্ত্রী বেকির বোজদাগ জানান,  ভূমিকম্পে ধ্বংস হওয়া বা ক্ষতিগ্রস্থ ভবনগুলির তৈরির সঙ্গে জড়িত থাকার জন্য  কমপক্ষে ৫৪ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।          

১৯৩৯ সালে শেষবার এমনই ভয়াবহ ভূমিকম্প হয়েছিল তুরস্কে। সেবারও রিখটার স্কেলে কম্পনের মাত্রা ছিল ৭.৮। প্রাণ হারিয়েছিলেন ৩৩ হাজার মানুষ।  আর সোমবারের মহাপ্রলয়ের পরও অব্যাহত মৃত্যুমিছিল। 

আরও পড়ুন –

ভোরে কেঁপে উঠল ভূস্বর্গ, আতঙ্ক চরমে

          



Source link

https://sluicebigheartedpeevish.com/u4j5ka2p?key=f9b1fb0aab078545b23fc443bdb5baad

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

%d bloggers like this: