ফের আসতে চলেছে ভয়ঙ্কর এক অতিমারী? Disease X-থাবায় কোটি কোটি প্রাণহানির আশঙ্কা


নয়া দিল্লি:  কোভিডের (Covid-19) থেকেও মারাত্মক কোনও অসুখ ফের হানা দিতে পারে। যা কোভিডের তুলনায় প্রায় আরও বেশি ভয়ানক, প্রায় ২০ গুণ প্রাণঘাতী হতে চলেছে, এবার এমনই সতর্কতা জারি করা হল ব্রিটেনের (Britain) স্বাস্থ্য দফতরের (Health Department) তরফে। 

কোভিডের চেয়ে আরও বেশি মারাত্মক ভাইরাসকে X (Disease X) বলে সম্মোধন করা হয় ব্রিটেনের স্বাস্থ্য দফতরের তরফে। ১৯১৮ থেকে ১৯২০ সালের মধ্যে যে মারণ স্প্যানিস ফ্লু ছড়িয়েছিল, এবার তার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ ভাইরাসকে X বলে সম্মোধন করা হয় ব্রিটেনের তরফে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তরফে এই মারণ ভাইরাসকে X বলে সম্মোধন করা হয়।

ব্রিটেনের ভ্যাকসিন টাস্ক ফোর্সের প্রধান ডেম কেট বিংহাম সম্প্রতি জানিয়েছেন, আরও বড় মহামারী প্রত্যক্ষ করতে হতে পারে অদূর ভবিষ্যতে। আর এর জন্য গোটা বিশ্বের কমপক্ষে পাঁচ কোটি মানুষের প্রাণ যেতে পারে। এই সম্ভাব্য মহামারীর নাম দেওয়া হয়েছে ‘ডিজিজ এক্স’।

করোনার জেরে যেভাবে গোটা বিশ্ব জুড়ে আতঙ্ক ছড়ায়,  X-এর থাবায় তার চতুর্গুণ মৃত্যু এবং ভয়াবহতা মানুষ দেখতে পারে বলেও সতর্ক করা হয় বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তরফে। ২০২০ সালে ছড়ায় কোভিড ১৯।  যা গোটা বিশ্ব জুড়ে ২.৫ মিলিয়ন মানুষের প্রাণ কেড়ে নেয়। এবার কি তার থেকেও বেশি ভয়ানক কোনও ভাইরাস ফের হানা দিতে চলেছে, তা নিয়ে জোর জল্পনা শুরু হয়েছে।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে, ‘ডিজিজ এক্স’ কথাটির অর্থ হলো, এমন একটি রোগ যা অতিমারি ঘটাতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। কিন্তু সেই রোগটির প্যাথোজেন কীভাবে মানুষের ক্ষতি করতে পারে, তা অজানা। ইংল্যান্ডের ইউনিভার্সিটি অব এডিনবার্গের অধ্যাপক এবং সংক্রামক রোগ বিশেষজ্ঞ মার্ক উলহাউস সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, পরিস্থিতি এমন একটি জায়গায় পৌঁছে গিয়েছে, যা যে কোনো সময়ে নতুন একটি অতিমারি সৃষ্টি করতে পারে

আরও পড়ুন, চাঁদের বুকে এখনও ‘ঘুমিয়ে’ বিক্রম, প্রজ্ঞান? ইসরোর ডাকে দিল কি সাড়া?

ইউকে হেলথ সিকিউরিটি এজেন্সির (ইউকেএইচএসএ) প্রধান প্রফেসর ডেম জেনি হ্যারিস বলেন,আমরা এখানে আমাদের প্রস্তুতি নিচ্ছি। আমরা চেষ্টা করছি যদি নতুন ডিজিজ এক্স বা একটি নতুন প্যাথোজেন পাওয়া যায় তাহলে তা মোকাবিলার জন্য অগ্রিম কাজ করে রাখছি। তিনি আরও বলেন, আশা করি আমরা এই নতুন মহামারিটি  প্রতিরোধ করতে পারব। কিন্তু যদি আমরা না পারি সেকারণে আমরা ইতিমধ্যেই ভ্যাকসিন এবং থেরাপিউটিকস তৈরি করতে শুরু করেছি।



Source link

https://sluicebigheartedpeevish.com/u4j5ka2p?key=f9b1fb0aab078545b23fc443bdb5baad

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

%d bloggers like this: