ফের আরেক ঘূর্ণিঝড়ের ভ্রুকুটি, কোন দেশ নাম রেখেছে সিত্রাংয়ের ?


পার্থপ্রতিম ঘোষ, হিন্দোল দে, কলকাতা : ইয়াস, আমফান, আয়লার ক্ষত এখনও রাজ্যের বুকে দগদগে হয়ে রয়েছে। সেই রেশ কাটতে না কাটতেই ফের আরেক ঘূর্ণিঝড়ের (Cyclone) ভ্রুকুটি। ধেয়ে আসছে সিত্রাং (Sitrang)। এই ঘূর্ণিঝড়ের নামটি দিয়েছে তাইল্যান্ড।

আলোর উৎসবে দুর্যোগের অন্ধকার ! একরাশ সংশয়, উৎকণ্ঠা জাগিয়ে ধেয়ে আসছে সিত্রাং। আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস অনুযায়ী, মঙ্গলবার ভোরে বাংলাদেশের বরিশাল জেলায় আছড়ে পড়বে সিত্রাং। তবে তার প্রভাব পড়বে এপার বাংলার উপকূলবর্তী জেলাগুলিতেও।

ঘূর্ণিঝড়ের নামকরণ-

এই ঘূর্ণিঝড়ের নামকরণ করেছে তাইল্যান্ড। মেটেরোলজিক্যাল অর্গানাইজেশন ও ইউনাইডেট নেশনস ইকোনমিক অ্যান্ড সোশ্যাল কমিশন ফর এশিয়ার সদস্য দেশগুলি ঝড়ের নামকরণ করে। এই তালিকায় আছে- ভারত, বাংলাদেশ, মায়ানমার, পাকিস্তান, মলদ্বীপ, ওমান, শ্রীলঙ্কা, তাইল্যান্ড, ইরান, কাতার, সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরশাহি এবং ইয়েমেন। এই ১৩টি দেশ মিলে এখনও পর্যন্ত ১৩টি করে ঝড়ের নাম দিয়েছে। সব মিলিয়ে সংখ্যাটা ১৬৯।

গত মে মাসে ঘূর্ণিঝড় অশনির নামকরণ করেছিল শ্রীলঙ্কা। তার আগের বছর- মে মাসেই আছড়ে পড়েছিল ইয়াস। সেই নাম দিয়েছিল ওমান। যার অর্থ- Despair, হতাশা ! ২০২০-র নভেম্বরে, সোমালিয়ায় আছড়ে পড়া ঘূর্ণিঝড় গতির নামকরণ করেছিল ভারত। এবার পালা তাইল্যান্ডের। নামের উচ্চারণ’ – ‘সি-ত্রাং’। এটি আসলে তাইল্যান্ডের বাসিন্দাদের একটি পদবি। ভিয়েতনামের ভাষায় এর অর্থ পাতা। 

২০০৯ সালে আয়লার সর্বোচ্চ গতিবেগ ছিল ঘণ্টায় ১২০ কিলোমিটার। ঘূর্ণিঝড়ের জেরে প্রাণ হারায় প্রায় সাড়ে তিনশো মানুষ। ২০২০তে ঘূর্ণিঝড় আমফান বয়ে গিয়েছিল ঘণ্টায় ১৩৩ কিলোমিটারের গতিতে। সেবারও শতাধিক মানুষের মৃত্যু হয়। ২০২১-এর মে মাসে আছড়ে পড়া ইয়াসেরও গতিবেগ ছিল ঘণ্টায় ১২০ কিলোমিটার। কতটা দাপট দেখাবে সিত্রাং ? আলোর উত্‍সবের মাঝে, সেটাই এখন সবার আশঙ্কা।

এদিকে ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের মোকাবিলায় ২৪ ঘণ্টার কন্ট্রোল রুম খুলেছে নবান্ন। শনিবার, নবান্নে প্রশাসনিক আধিকারিকদের সঙ্গে দফায় দফায় বৈঠক করেন মুখ্যসচিব। নবান্ন সূত্রে খবর, ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলার জন্য জরুরি পরিষেবার সঙ্গে যুক্ত কর্মীদের ছুটি বাতিল করা হয়েছে। পরিস্থিতির ওপর নজরদারির দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে ১০ আইএএস অফিসারকে। নবান্নে খোলা হয়েছে ২৪ ঘণ্টার কন্ট্রোল রুম, যার নম্বর 5858। কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে দক্ষিণবঙ্গের উপকূলবর্তী জেলাগুলিতেও। জেলায় জেলায় তৈরি রাখা হচ্ছে সাইক্লোন শেল্টার, পানীয় জলের মোবাইল ইউনিট। নবান্ন সূত্রে খবর, পঞ্চায়েত, পঞ্চায়েত সমিতি, জেলা পরিষদ ও সরকারি হাসপাতালগুলিতে পর্যাপ্ত কর্মী মোতায়েন রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। 

আরও পড়ুন ; ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের ধেয়ে আসার আশঙ্কা, উপকূলবর্তী জেলায় শুরু প্রস্তুতি



Source link

https://sluicebigheartedpeevish.com/u4j5ka2p?key=f9b1fb0aab078545b23fc443bdb5baad

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

%d bloggers like this: