ফিরল করোনা উদ্বেগ, বেলেঘাটা আইডি-তে মৃত্য়ু রোগীর, নতুন বছরে এই প্রথম


ঝিলম করঞ্জাই, কলকাতা: পড়শি দেশে পরিস্থিতি উদ্বেগজনক হলেও, নতুন করে করোনার (Novel Coronavirus) প্রকোপ দেখা যায়নি ভারতে। কিন্তুি বছরের শুরুতে ফের উদ্বেগ ফিরল বাংলায়। ২০২৩-এর শুরুতে এ বার করোনা আক্রান্ত এক রোগীর মৃত্যু (COVID Death) হল কলকাতায় (Kolkata News)। বেলেঘাটা আইডি-তে (Beliaghata ID) ভর্তি ছিলেন ওই রোগী। আদতে বিহারের বাসিন্দা তিনি। শনিবার সকালে তাঁর মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।

২০২৩-এর শুরুতে এ বার করোনা আক্রান্ত এক রোগীর মৃত্যু, নতুন বছরে প্রথম

বেলেঘাটা আইডি-সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃতার নাম ঊর্মিলাদেবী। বয়স হয়েছিল ৮১ বছর। গত ৩১ জানুয়ারি করোনায় আক্রান্ত হন তিনি। সেপটিসিমিয়া এবং নিউমোনিয়াতেও আক্রান্ত ছিলেন ঊর্মিলাদেবী। বেলেঘাটা আইডি-তে সেই থেকে চিকিৎসা চলছিল তাঁর। শনিবার সকালে মৃত্যু হয়। নতুন বছরে এই প্রথম করোনায় আক্রান্ত হয়ে শহর তথা রাজ্যে কারও মারা যাওয়ার সন্ধান মিলল। 

হাসপাতাল এবং স্বাস্থ্যভবন সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই মহিলা মূলত পেটের সমস্যা নিয়ে ভর্তি হন। চিকিৎসার জন্য় একাধিক পরীক্ষা হয় তাঁর। তাতে করোনা পরীক্ষাও ছিল। রিপোর্ট এলে দেখা যায়, করোনায় আক্রান্ত তিনি। প্রথমে তাঁকে জেনারেল আইসিইউ-তে রাখা হয়। পরে স্থানান্তরিত করা হয় কোভিড আইসিইউ-তে। 

আরও পড়ুন: Amartya Sen: ‘আমাকে দু’চার ঘা দিয়ে দিল্লির উপকার করতে চাইছেন’, বিশ্বভারতীর উপাচার্যকে কটাক্ষ অমর্ত্যের

পরবর্তী কালে ফুসফুসে সংক্রমণও ধরা পড়ে ওই মহিলার। তার পর নিউমোনিয়াও ধরা পড়ে। সবরকম ভাবে পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার চেষ্টা করেন চিকিৎসকরা। কিন্তু শেষরক্ষা হয়নি। শনিবার সকালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। তবে একাধিক কোমর্বিডিটি থাকলেও, করোনা আক্রান্ত হয়েই তাঁর মৃত্য়ু হয়েছে বলে জানানো হয়েছে হাসপাতাল সূত্রে। 

বেলেঘাটা আইডি হাসপাতালে ৩১ জানুয়ারি থেকে ভর্তি ছিলেন রোগী

বেলেঘাটা আইডি হাসপাতাল এবং স্বাস্থ্যভবনের একটি সূত্র জানাচ্ছে, ওই মহিলাকে করোনা রোগী বলেই চিহ্নিত করা হয়। তিনি করোনাতেই মারা গিয়ছেন বলে পরিবারকে জানানো হয়েছে। হাসপাতালের কাছ থেকে খবর পেয়ে শনিবার সকালেই ওই মহিলার দেহ পরিবার নিয় যায় বলে খবর মিলেছে। ওই মহিলার বয়স হয়েছিল যদি। কিন্তু করোনায় ফের রোগীমৃত্যুর খবরে উদ্বেগ দেখা দিয়েছে। তবে গত ২৮ জানুয়ারি করোনা বুলেটিনে স্বাস্থ্য দফতর জানিয়েছিল, সেই সময় দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ১০-এর নিচে। 



Source link

https://sluicebigheartedpeevish.com/u4j5ka2p?key=f9b1fb0aab078545b23fc443bdb5baad

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

%d bloggers like this: