পরিণীতি চোপড়া ‘কোড নেম তিরঙ্গা’র একমাত্র বিশেষত্ব, কিন্তু গল্প কোথায়?


অমিত ভাটিয়া, নয়াদিল্লি: ‘কোড নেম তিরঙ্গা’ (Code Name: Tiranga), নাম থেকেই মোটামুটি স্পষ্ট যে এই গল্প এক এজেন্ট যে দেশের জন্য কোনও মিশনে সামিল হতে চলেছে। তবে এবার মিশনে (mission) কোনও নায়ক নয়, যাবেন এক নায়িকা। এই বিষয়টিই এই ছবির একমাত্র বিশেষত্ব। ছবিতে একাধিক দুর্দান্ত অভিনেতা রয়েছেন। তবে সিনেমা দেখে মনে হবে এই গল্প আগে বহুবার দেখা। শুধুমাত্র নায়কের বদলে নায়িকা।

‘কোড নেম তিরঙ্গা’র গল্প

এই গল্প দুর্গা নামের এক এজেন্টের যে বিদেশে এক মিশনে রয়েছে। এই চরিত্রে অভিনয় করেছেন পরিণীতি চোপড়া (Parineeti Chopra)। এক সন্ত্রাসবাদীকে পাকড়াও করতে মিশনে হাজির তিনি সেখানেই তাঁর পরিচয় হয় হার্ডি সন্ধুর সঙ্গে। এরপর সেখানে কী হয় তাই দেখানো হয়েছে ছবিতে। এর থেকে বেশি কী বলা যেতে পারে! ব্যাপারটা এমন নয় যে বেশি বললে ‘স্পয়লার’ দেওয়া হবে, আসলে ছবি নিয়ে বলার বিশেষ কিছুই নেই তেমন। বলাই বাহুল্য, সেই মিশন সম্পূর্ণ করে ফেলেন পরিণীতি এবং সেই সঙ্গে দর্শকও এক মিশনে সামিল হয়ে পড়েন। তা হল, ছবির গল্প খোঁজার। এরকম একাধিক সিনেমা আমরা ইতিমধ্যেই দেখে ফেলেছি। এই ছবি দেখেও তাই নতুন কিছুই মনে হবে না। এখানেই এই ছবি পিছিয়ে পড়ে।

অভিনয়ের নিরিখে

মুখ্য চরিত্রে পরিণীতি চোপড়া দুর্দান্ত অভিনয় করেছেন, যা বলাই বাহুল্য। অ্যাকশন অবতারে বেশ মানিয়েছে পরিণীতিকে। বোরখা পরেও তাঁর অ্যাকশন দৃশ্য নজর কাড়ার মতো। আবেগঘন দৃশ্যেও ভালই মানিয়েছে তাঁকে। ছবি দেখেই বোঝা যাবে যে পরিণীতি চোপড়া যথাসাধ্য পরিশ্রম করেছেন, চেষ্টা করেছেন। কিন্তু ছবিতে আলাদা হচ্ছে যে এক নায়িকা অ্যাকশন দৃশ্য করছেন। হার্ডি সন্ধুও তাঁর চরিত্রে যথাযথ। কোনও জায়গায় তাঁকে পাঞ্জাবী গায়ক ও অভিনেতা মনে হবে না। না লুকে, না সংলাপ বলার ক্ষেত্রেও। বেশ সাবলীল তিনি। শরদ কেলকর এই ছবির প্রধান ভিলেন। তাঁকে পর্দায় বেশ মানিয়েছে। রজিত কপূর ও দিব্যেন্দু ভট্টাচার্যের অভিনয়ও প্রশংসার দাবি রাখে। অভিনয় তো সকলেরই দুর্দান্ত। কিন্তু এত ভাল অভিনেতা ও অভিনেত্রীদের নিয়ে যে ধরণের সংলাপ ও গল্প তৈরি করা হয়েছে তাতে কোনও ম্যাজিকই চোখে পড়েনি। ছবির সিনেম্যাটোগ্রাফি বেশ ভাল। লোকেশন ও আবহও বেশ ভাল।

 

এই ছবির সবচেয়ে বড় নেতিবাচক দিক হচ্ছে এই ছবির গল্প। একটু অন্য ধরনের মোড়কের আশা করতে পারেন। কিন্তু অপেক্ষা করতে করতে প্রেক্ষাগৃহ থেকে বের হওয়ার সময় এসে যাবে।

আরও পড়ুন: Doctor G Review: বিনোদনের ডাক্তার আয়ুষ্মান খুরানা, যোগ্য সঙ্গতে শেফালি শাহ-রকুলপ্রীত সিংহ, মুক্তি পেল ‘ডক্টর জি’

পরিচালক রিভু দাশগুপ্ত যদি এমন ছবিই বানাতে গেলেন, তাহলে আরও অনেক বেশি পরিশ্রম করতে হত। ছবির কাস্টিং তো ভালই ছিল, অভিনয় নিয়েও তাই সমস্যা হয়নি, কিন্তু গল্পেরই কোড হারিয়ে গেল। রেটিংয়ে পরিণীতি চোপড়ার জন্য বাড়তি অর্ধেক স্টার।



Source link

https://sluicebigheartedpeevish.com/u4j5ka2p?key=f9b1fb0aab078545b23fc443bdb5baad

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

%d bloggers like this: