পরমাণু শক্তির রিমোট কন্ট্রোল , ২০ কেজির কালো ‘ব্রিফকেস’ নিয়েই দিল্লিতে মার্কিন প্রেসিডেন্ট


নয়াদিল্লি: ২০ কেজির কালো ব্রিফকেস! পোশাকি নাম ফুটবল! আমেরিকার প্রেসিডেন্ট (US President Joe Biden) যেখানেই যান, ফুটবল যায় তাঁর সঙ্গেই। কারণ, এই ব্রিফকেসই হল আমেরিকার পরমাণু শক্তির রিমোট কন্ট্রোল। G20 শীর্ষ সম্মেলন উপলক্ষ্যে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট বাইডেনের সঙ্গেও দিল্লি-ভ্রমণ হয়ে গেল পরমাণুশক্তির (atom bomb remote control) সেই পাওয়ারপ্যাকের। 

পরমাণু অস্ত্রের ‘রিমোট’…
পারমাণবিক অস্ত্র। গোটা পৃথিবী এর ভয়ে কাঁটা। এর ক্ষমতায় চোখের পলকে, এক নিমেষে সব শেষ! ১৯৪৫ সালে জাপানের হিরোশিমা এবং নাগাসাকিকে পঙ্গু করে দিয়েছিল আমেরিকার ‘লিটল বয়’ ও ‘ফ্যাট ম্যান’! আমেরিকার যে পরমাণু শক্তির জোরে সিঁটিয়ে থাকে বিশ্ব, তার রিমোট কন্ট্রোল এখন দিল্লিতে। কারণ, খোদ G20 সম্মেলন উপলক্ষে খোদ মার্কিন প্রেসিডেন্ট এখন দিল্লিতে। তাঁর সঙ্গেই দিল্লি এসে পৌঁছেছে ২০ কেজি ওজনের কালো একটি ব্রিফকেস যা সবসময় আমেরিকান প্রেসিডেন্টের সঙ্গে থাকে। সাধারণত মার্কিন প্রেসিডেন্টের সঙ্গী কোনও নিরাপত্তা আধিকারিকের সঙ্গে থাকে এই ব্রিফকেস। যার পোশাকি নাম ‘ফুটবল’। এর ভিতরে ব্ল্যাকবুকে লেখা থাকে বিশ্বের কোথায় কোথায় পরমাণু অস্ত্র মোতায়েন করেছে ওয়াশিংটন। সেই পরমাণু অস্ত্রগুলির শক্তির বিস্তারিত বিবরণও দেওয়া থাকে। ব্ল্যাকবুকে থাকে একটি ছোট ফোল্ডার। পরমাণু যুদ্ধে পৃথিবী অথবা আমেরিকা ধ্বংসের পথে গেলে, দেশবাসীর উদ্দেশে কী বার্তা দেওয়া হবে তার বিবরণ সেখানে রয়েছে। পরমাণু যুদ্ধের সময় প্রেসিডেন্টকে বিশ্বের কোন কোন ‘নিরাপদ স্থানে’ নিয়ে যাওয়া যেতে পারে তারও বিস্তারিত বিবরণও রয়েছে ওই ফোল্ডারে।

বিশদ…
মার্কিন রাষ্ট্রপতির বাসভবন হোয়াইট হাউসে, তাঁর বিমানে, এই ব্রিফকেসটি সবসময় তাঁর সঙ্গে থাকে। সিক্রেট সার্ভিসের এজেন্টরা যেমন প্রেসিডেন্টকে রক্ষা করেন, একইভাবে তাঁরা এই ফুটবল বহনকারী ব্যক্তিকেও রক্ষা করেন। কিন্তু তাঁদের সমস্ত প্রচেষ্টা অসম্পূর্ণ হয়ে যেতে পারে যদি না প্রেসিডেন্টের কাছে বিসকুট থাকে। ফুটবলের মধ্যে থাকা ৫ ইঞ্চি লম্বা এবং ৩ ইঞ্চি চওড়া একটি কার্ডকে বলে ‘গোল্ড কোডস’ বা ‘বিস্কুট’। তার মধ্যে আমেরিকার পরমাণু অস্ত্রগুলি ব্যবহারের জন্য একটি বিশেষ কোড রয়েছে। ওই কোডগুলি ছাড়া পরমাণু অস্ত্র ব্যবহার করা সম্ভব নয়। এই কারণেই পারমাণবিক হামলার কোড সম্বলিত বিসকুট সবসময় প্রেসিডেন্টের কাছে থাকে। এর দুটি সুবিধা রয়েছে। প্রথমত, প্রেসিডেন্ট প্রয়োজনে যে কোনও জায়গা থেকে পরমাণু হামলার নির্দেশ দিতে পারেন। এবং দ্বিতীয়ত, যদি পারমাণবিক ফুটবল ভুল হাতে পড়ে যায়, তাতেও কোনও লাভ হয় না…। যদিও অতীতে এমনও হয়েছে যে পারমাণবিক ফুটবল নিরাপদে থেকে গিয়েছে, কিন্তু বিস্কুট কোথায় তা নিয়ে হইচই পড়ে গেছে। শোনা যায়, প্রয়াত মার্কিন রাষ্ট্রপতি জন এফ কেনেডি, বিস্কুটগুলি কোথাও রেখে ভুলে গিয়েছিলেন। ১৯৮১ সালে মার্কিন প্রেসিডেন্ট রোনাল্ড রেগানের বিস্কুট একটি হাসপাতালে একটি প্লাস্টিকের ব্যাগে পড়ে থাকতে দেখা যায়। ২০০০ সালে, তৎকালীন মার্কিন প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিনটনও বিস্কুটটি কোথাও রেখে ভুলে গিয়েছিলেন… কয়েক মাস ধরে না সেটা নিখোঁজ ছিল। এরপরই, এর সুরক্ষা বাড়ানো হয়। এবং দ্রুত খোঁজ পাওয়ার জন্য পাঁচ-পাঁচটি বাজার ইনস্টল করা হয়। আপাতত, প্রেসিডেন্ট বাইডেনের সঙ্গে সেটিও দিল্লি-সফর সারল।

আরও পড়ুন:জি-২০ শীর্ষবৈঠকের ফাঁকেই অক্ষরধাম মন্দির দর্শন ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রীর



Source link

https://sluicebigheartedpeevish.com/u4j5ka2p?key=f9b1fb0aab078545b23fc443bdb5baad

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

%d bloggers like this: