কলকাতা: দোরগড়ায় দীপাবলি। ডেঙ্গির সঙ্গে সমানে সমানে ফের উদ্বেগ বাড়াচ্ছে করোনা। গত ২৪ ঘন্টায় রাজ্যে ফের বাড়ল কোভিড আক্রান্তের সংখ্যা (Covid Postive)। রাজ্য কোভিড বুলেটিনের তথ্য অনুযায়ী, (WB Covid Bulletin) গত ২৪ ঘন্টায় সারা বাংলায় কোভিডে সংক্রমিত হয়েছেন ১৯৭ জন । যেখানে গত ৪৮ ঘন্টায় কোভিডে আক্রান্তের সংখ্য়া ছিল ১৮৪ জন। এই মুহূর্তে হাসপাতালে রয়েছেন ৬৪ জন।এদিন কোভিডে মৃত্যু শূন্য না হলেও একই জায়গায় দাঁড়িয়ে আছে। গত ৪৮ ঘন্টায় কোভিডে মৃত্যু হয়েছিল ১ জনের। গত ২৪ ঘন্টায় বাংলায় কোভিডে ফের মৃত্যু হল ১ জনের।
WB COVID-19 Daily Health Bulletin: 13 October 2022. A detailed snapshot of all relevant details on COVID-19 in WB. Keep checking.
পশ্চিমবঙ্গ কোভিড-১৯ দৈনিক স্বাস্থ্য বুলেটিন: ১৩ অক্টোবর ২০২২। পশ্চিমবঙ্গের কোভিড-১৯ সম্পর্কিত বিস্তারিত তথ্য পেতে নজর রাখুন।#BengalFightsCorona pic.twitter.com/ys7ahg7Vle
— Department of Health & Family Welfare, West Bengal (@wbdhfw) October 13, 2022
অপরদিকে, তবে রাজ্য কোভিড বুলেটিনের তথ্য অনুযায়ী, পজিটিভিটি রেট কমল বাংলায়। গত ৭২ ঘন্টায় সারা বাংলায় পজিটিভিটি রেট ছিল (Positivity Rate) ৩.০২ শতাংশ এবং গত ৪৮ ঘন্টায় তা কমে হয় ২.৯৩ শতাংশ। কোভিড বুলেটিনের তথ্য অনুযায়ী, রাজ্য গত ২৪ ঘন্টায় ফের পজিটিভিটি রেট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২.৮৭ শতাংশ ।রাজ্য কোভিড বুলেটিনের তথ্য অনুযায়ী, গত ৪৮ ঘন্টায় সারা বাংলায় হোম আইসোলেশনের সংখ্যা ছিল ১ হাজার ৫২১ জন। গত ২৪ ঘন্টায় তা এসে দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ৪৪৩ জন। বাংলায় গত ২৪ ঘন্টায়, স্যাম্পেল টেস্ট ৬৮৫৯ জনের হয়েছে। তবে প্রশ্ন উঠেছে নুমনা টেস্ট কত জন করছে। অর্থাৎ কতজন আদৌ সন্দেহ করছে কিংবা কোভিডের উপস্বর্গ খেয়াল করে আইটি পিসিআর করাচ্ছে। কারণ তাহলেই জানা যাবে প্রকৃত কোভিডের সংখ্যা।
আরও পড়ুন, ‘ছোটবেলায় আমি তিনটে বছর গান শিখেছিলাম’, স্মৃতির শহরে মমতা
প্রসঙ্গত, রাজ্যে কোভিডের প্রথম বর্ষ থেকে তৃতীয় বর্ষের ঢেউ অবধি সবচেয়ে ভয়াবহ ছিল দ্বিতীয় বর্ষ। কারণ ফুসফুসে সংক্রমণ হয়ে সবথেকে বেশি ভয়াবহতা দেখা দিয়েছিল সেবছরই। কোভিড ভ্যাকসিন নিয়ে উৎকণ্ঠা থেকে শুরু করে হুড়োহুড়ি সবই ছিলব। কিন্তু হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার সুযোগ যেমন অনেকে পাননি। তেমনই অনেকেই হাসপাতালে ভর্তি হয়ে বাড়িও ফিরতে পারেননি। তারপর কোভিড বিধির জেরে প্রিয় জনের বিয়োগে, শেষ দেখাটাও দেখতে পারেনি পরিবার। কারণ সংক্রমণের ভয়াবহতা ছড়িয়েছিল সর্বত্র।