দিল্লি পৌঁছলেন শেখ হাসিনা, ভারত-সফরে কী নিয়ে আলোচনা?


নয়াদিল্লি: ভারতে এসে পৌঁছলেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা (Sheikh Hasina)। তিন দিনের ভারত সফরে এসে পৌঁছেছেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী (Bangladesh Prime Minister)। সোমবার সকালে দিল্লি বিমানাবন্দরে এসে পৌঁছন তিনি। কেন্দ্রের উচ্চপদস্থ আধিকারিকরা তাঁকে স্বাগত জানান। রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু, উপরাষ্ট্রপতি জগদীপ ধনখড়ের সঙ্গে সাক্ষাত্‍ করবেন শেখ হাসিনা। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গেও তাঁর দ্বিপাক্ষিক বৈঠক রয়েছে। বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্করের সঙ্গে দেখা হওয়ার কথা রয়েছে। সফরের শেষদিন তাঁর রাজস্থানের আজমেঢ়ে মইনুদ্দিন চিস্তির দরগায় যাওয়ার কথা রয়েছে। 

একাধিক বিষয়ে আলোচনা:
প্রতিরক্ষা, বাণিজ্য এবং নদী নিয়ে একাধিক আলোচনা হতে পারে দুই দেশের মধ্যে। সূত্রের খবর, এই সফরে ভারতের সঙ্গে একাধিক চুক্তি সাক্ষর করতে পারে বাংলাদেশ। কুশিয়ারা নদীর জলবণ্টন নিয়েও কথা হতে পারে বলে সূত্রের খবর। দুই দেশের মধ্যে সামগ্রিক সম্পর্কের উন্নতির লক্ষ্যও থাকছে।

হাসিনার সঙ্গে কারা এসেছেন?
বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে ভারত সফরে এসেছেন সেদেশের বিদেশমন্ত্রী এ কে আবদুল মোমিন। বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুন্সি, রেলমন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজন এবং বেশ কিছু আধিকারিক।  

তিন দিনের সফরের আগে ফের বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর গলায় শোনা গিয়েছে তিস্তা জলবণ্টন প্রসঙ্গ। ভারত-বাংলাদেশের মধ্যে তিস্তার জলচুক্তি নিয়ে দীর্ঘ দিন ধরে আলোচনা হলেও জট কাটেনি। ২০১১ সালে তিস্তা জলবণ্টন চুক্তি স্বাক্ষরের উদ্যোগ নেন তত্‍কালীন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংহ। কিন্তু, শেষমুহূর্তে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আপত্তিতে তা সম্ভব হয়নি। এরপর মোদি সরকারের আমলে বাংলাদেশের সঙ্গে স্থলসীমান্ত চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। মোদি-মমতা একসঙ্গে বাংলাদেশে গিয়েছেন। কিন্তু তিস্তা জলবণ্টন চুক্তি রয়ে গিয়েছে সেই তিমিরেই। এরই মধ্যে তিস্তা জলবণ্টন প্রসঙ্গ নিয়ে ভারতকে আরও উদার হওয়ার বার্তা দিয়েছেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। পাশাপাশি, সফরের আগে ভারত ও বাংলাদেশের পারস্পরিক সম্প্রীতি ও সৌহার্দ্যের কথাও উঠে এসেছে হাসিনার মুখে। সফরের আগে এএনআই-এর সঙ্গে একটি সাক্ষাৎকারে গরুপাচার প্রসঙ্গেও মুখ খুলেছেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী। বাংলাদেশ গরুর জন্য ভারতের উপর নির্ভরশীল নয়, জানিয়েছেন শেখ হাসিনা। পাশাপাশি করোনার সময় এবং রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ শুরু হলে বাংলাদেশি পড়ুয়াদের নিরাপদে ফিরিয়ে আনার জন্য ভারত সরকারের প্রশংসা করেন হাসিনা। করোনা টিকা সরবরাহের জন্যও মোদিকে ধন্যবাদ জানান। 

আরও পড়ুন: ‘ভারতীয় গরুর উপর বাংলাদেশ খুব বেশি ভরসা করে না, বললেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা



Source link

https://sluicebigheartedpeevish.com/u4j5ka2p?key=f9b1fb0aab078545b23fc443bdb5baad

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

%d bloggers like this: