দিনেদুপুরে ওয়েস্ট ব্যাঙ্কে হামলা ইজরায়েলের, নিহত ১১ প্যালেস্তিনীয়


তেল আভিভ: দিনেদুপুরে ওয়েস্ট ব্যাঙ্কে (West Bank) হামলা (Attack) চালাল ইজরায়েলি ডিফেন্স ফোর্স (IDF)। তাতে অন্তত ১১ জন প্যালেস্তিনীয়র (Palestinian) প্রাণ গিয়েছে, জখম (Injured) শতাধিক। এই নিয়ে কি ফের মাথাচাড়া দিতে পারে প্যালেস্তাইন-ইজরায়েল সংঘর্ষ? এর মধ্য়েই জল্পনা আন্তর্জাতিক মহলে। 

কী ঘটেছিল?
ইজরায়েলের দাবি, গত বুধবার নাবলুস-এ যে অভিযান তারা চালিয়েছে তার লক্ষ্য ছিল মূলত ৩ চক্রী। ওই তিন জন ইজরায়েলে হামলার ছক কষছিল, দাবি আইডিএফের। বুধবারের হামলায় তারা মারা গিয়েছে, দাবি আইডিএফ এবং ইজরায়েল সিকিউরিটি এজেন্সির। তবে ইসলামি চরমপন্থী গোষ্ঠীর দাবি, ওই হামলায় তাদেরও দুই কম্যান্ডারের মৃত্যু হয়েছে। সূত্রের খবর, নাবলুসে হামলায় যে তিন জন মারা গিয়েছিল বলে ইজরায়েলের দাবি, তাদের মধ্যে অন্তত এক জন ‘হামাস’-র সদস্য। হামাসও সেই কথা মেনে নিয়ে জানিয়েছে, নিহতের নাম হুসাম সালিম। আইডিএফের অবশ্য় দাবি, যে তিন জনের কথা তারা জানিয়েছে তাদের মধ্যে দুজন গুলিবর্ষণের জেরে মারা যায়। আর এক জন পালাতে গিয়ে গুলিবিদ্ধ হয়। আইডিএফ সূত্রে আরও উঠে এসেছে, নিহত তিন জনের এক জনের সঙ্গে গুলি ও বোমা হামলা চালানোর মতো উপকরণ ছিল। গত বছর ইদো বারুচ নামে যে আইডিএফের যে সেনার মৃত্য়ু হয়েছিল, তার খুনিদেরও এই তিনজনই পাঠিয়েছিল। 

যা হল…
সংঘর্ষের সময় সন্দেহভাজন ওই ৩ জন পাথর, মলোটভ ককটেল এবং বিস্ফোরক ছুড়েছিল আইডিএফের দিকে। এদিকে প্যালেস্তিনিয়ান নিউজ অ্যান্ড ইনফরমেশন এজেন্সির দাবি, ওই হামলায় অন্তত ১০২ জন জখম হয়েছেন। প্যালেস্তাইনের স্বাস্থ্য়মন্ত্রক জানিয়েছে, নিহত ১১ জনের মধ্যে ৬ জনের বয়স ২০-র কোঠায়, বাকিরা কেউ ১৬, কেউ ৩৩, কেউ ৬১, কারও আবার বয়স ৭২ বছর। স্থানীয়দের বক্তব্য, একটি ড্রোন থেকে অস্ত্র ও কাঁদানে গ্যাস ছোড়া হচ্ছিল। ইজরায়েল অবশ্য ওয়েস্ট ব্যাঙ্কে ড্রোন ব্যবহারের অভিযোগ মানেনি।  প্রসঙ্গত, এর আগে ২০২১ সালের মে মাসেও তুমুল অশান্তি বেঁধেছিল দু-তরফে! সেবার রকেট হানায় বিধ্বস্ত হয় গাজা। ক্ষতিগ্রস্ত হয় ইজরায়েলের একাংশও। মিশর মধ্যস্থতার চেষ্টা করলেও কাজ হয়নি কিছুই। সব মিলিয়ে পুরোপুরি যুদ্ধের দিকে এগোতে শুরু করে প্যালেস্তাইন-ইজরায়েলের পরিস্থিতি। প্রাথমিক ভাবে শতাধিক মানুষের মৃত্যুর খবর জানা যায়। জখমের সংখ্যা বাড়তেই থাকে। গাজার স্বাস্থ্যমন্ত্রক জানায়, ইজরায়েলের রকেট হানায় মৃত্যু হয়েছে তাদের ১০৩ জনের। যার মধ্যে ২৭ জন শিশু রয়েছে। অলজজিরার রিপোর্টে উঠে আসে, জখমের সংখ্যা ৫৮০ ছাড়িয়েছে যাঁদের মধ্যে অনেকের অবস্থা আশঙ্কাজনক।

আরও পড়ুন:কর্মবিরতিতে কার্যত স্তব্ধ হাইকোর্ট, প্রযুক্তির ব্যবহারে তাক লাগালেন বিচারপতি বসাক

  



Source link

https://sluicebigheartedpeevish.com/u4j5ka2p?key=f9b1fb0aab078545b23fc443bdb5baad

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

%d bloggers like this: