দল হারলেও, রোনাল্ডোকে প্রথম একাদশ থেকে বাদ দেওয়ায় আক্ষেপ নেই পর্তুগিজ কোচের


দোহা: স্যুইৎজারল্যান্ড ম্যাচের পর মরক্কোর বিরুদ্ধে ম্যাচেও প্রথম একাদশে জায়গা হয়নি ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডোর (Cristiano Ronaldo)। দক্ষিণ কোরিয়ার বিরুদ্ধে ম্যাচের পরই কোচ ফার্নান্দো স্যান্টোসের (Fernando Santos) সঙ্গে রোনাল্ডোর সম্পর্ক যে কিছুটা খারাপ হয়েছে, তার একটা আঁচ পাওয়া গিয়েছিল। এরপরই শাকিরিদের বিরুদ্ধে প্রথম একাদশে তাঁকে না রেখে রামোসকে নামিয়েছিলেন। যিনি আবার বিশ্বকাপের মঞ্চে প্রথমবার নেমেই হ্যাটট্রিক করেছেন। তাঁকেই ফের একবার স্ট্রাইকিং লাইনে রেখে দল সাজান পর্তুগিজ কোচ। সুইস ম্যাচের একাদশই ধরে রাখেন তিনি।

ম্যাচের ৪২ মিনিটের মাথায় ইউসুফ এল-নাসিরি গোলে এগিয়ে যায় মরক্কো। দ্বিতীয়ার্ধে দ্রুত রোনাল্ডোকে মাঠে নামান স্যান্তোস। সি আর সেভেন মাঠে নামার পর পর্তুগালের খেলায় গতি ফিরলেও মরক্কোর শক্তিশালী ডিফেন্স ভেদ করে গোল করাটা একপ্রকার অসাধ্য ছিল পর্তুগালের কাছে। ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডোর কাছে এটাই ছিল শেষ বিশ্বকাপ। কিন্তু ট্রফি অধরাই থেকে গেল ২০০৬ সাল থেকে বিশ্বকাপের মঞ্চে কোনওবারই কোয়ার্টার ফাইনালে গোল করতে পারেননি রোনাল্ডো। এবারও পারলেন না। দেশের জার্সিতে ১৯৬ ম্যাচ খেলতে নেমে রেকর্ড তো গড়লেন, কিন্তু ম্যাচ শেষে চোখের জলেই বিদায় নিতে হল পর্তুগিজ সুপারস্টারকে। 

স্যান্টোসের বক্তব্য

তবে বিশ্বকাপ থেকে ছিটকে গেলেও রোনাল্ডোকে প্রথম একাদশ থেকে বাদ দেওয়ায় বিন্দুমাত্র আক্ষেপ নেই স্যান্টোসের। ম্যাচ শেষে তিনি বলেন, ‘ওকে একাদশ থেকে বাদ দেওয়ায় কোনও আক্ষেপ নেই। আমি তো হৃদয়কে প্রাধান্য দিয়ে দল বাছতে পারি না। স্যুইৎজারল্যান্ড ম্যাচে এই দলই খুব ভাল খেলেছিল এবং সেই দল বদল করার কোনও মানে হয় না। (রোনাল্ডোকে বাদ দিয়ে) পরিকল্পনা তৈরি করাটা খুবই কষ্টকর ছিল। তবে দিনের শেষে মনকে প্রাধান্য দিলে তো আর হবে না। তবে এর মানে এটা নয় যে রোনাল্ডোর দক্ষতা নিয়ে কোনও প্রশ্ন রয়েছে। ওকে বাদ দেওয়ার সঙ্গে এর কোনও যোগ নেই।’

News Reels

রেকর্ড গড়েও বিদায়

ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডোর কাছে এটাই ছিল শেষ বিশ্বকাপ। কিন্তু ট্রফি অধরাই থেকে গেল ২০০৬ সাল থেকে বিশ্বকাপের মঞ্চে কোনওবারই কোয়ার্টার ফাইনালে গোল করতে পারেননি রোনাল্ডো। এবারও পারলেন না। দেশের জার্সিতে ১৯৬ ম্যাচ খেলতে নেমে রেকর্ড তো গড়লেন, কিন্তু ম্যাচ শেষে চোখের জলেই বিদায় নিতে হল পর্তুগিজ সুপারস্টারকে। অতিরিক্ত সময়ে আট মিনিট দেওয়া হয়েছিল। ৯৩ মিনিটের মাথায় লাল কার্ড দেখেন মরক্কোর ছেদিরা। আফ্রিকার দলটি ১০ জনে নেমে গেলেও গোলের দরজা খুলতে পারেননি রোনাল্ডোরা। ম্যাচ শেষে চোখের জলে মাঠ ছাড়েন রোনাল্ডো।

 

আরও পড়ুন: কোয়ার্টারে কেনের পেনাল্টি নষ্ট, বিশ্বকাপ থেকে বিদায়ের দায় নিজের কাঁধে নিলেন ইংল্যান্ড অধিনায়ক



Source link

https://sluicebigheartedpeevish.com/u4j5ka2p?key=f9b1fb0aab078545b23fc443bdb5baad

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

%d bloggers like this: