টলিউড থেকে বলিউড, একনজরে বিনোদনের সেরা খবরগুলি


কলকাতা: ঐন্দ্রিলা শর্মার স্বাস্থ্যের অবস্থা নিয়ে চিন্তায় সাধারণ মানুষ থেকে তারকারা। তাঁর স্বাস্থ্যের খবর দিচ্ছেন প্রেমিক সব্যসাচী চৌধুরী। অন্যদিকে, বলিউডে প্রয়াত হলেন বর্ষীয়ান অভিনেত্রী তবসুম। বিনোদনের জগতে সারাদিন কোথায় কী হল? একনজরে দেখে নিন সেরা খবরগুলি (Top Entertainment News Today)।

সমালোচনার মুখে ‘রাবণ’-এর দাড়ি ছাঁটার সিদ্ধান্ত? আবার কাজ শুরু ‘আদিপুরুষ’-এর ভিএফএক্সে

সমালোচনার মুখে পড়ে বদলে যাচ্ছেন রাবণ (Ravana)? হ্যাঁ। চলতি বছরের অন্যতম বড় ট্রোল (troll) হওয়া ছবি ‘আদিপুরুষ’ (Adipurush)। সিনেমা যদিও এখনও মুক্তি পায়নি। কিন্তু টিজারেই (teaser) সমালোচনা, কটাক্ষের শিকার হতে হয়েছে এই ছবিকে, বা বলা ভাল এই ছবির গ্রাফিক্সকে। এবার তাই নির্মাতারা ছবিতে রাবণের লুকই বদলে ফেলার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। কেমনভাবে দেখা যাবে রাবণকে তাহলে? চলতি বছরের অন্যতম বিতর্কিত টিজার ওম রাউত পরিচালিত ‘আদিপুরুষ’-এর। বড়পর্দার জন্য রামায়ণের আধুনিক সংস্করণ হিসেবে প্রচারিত হলেও, এই ছবির টিজার প্রকাশ্যে আসতেই রাবণের লুক নিয়ে সমালোচনার ঝড় ওঠে। রাবণের চরিত্রে দেখা যাবে বলিউড তারকা সেফ আলি খানকে (Saif Ali Khan)। 

বক্স অফিসে সাফল্য অব্যাহত! এবার ওটিটি কাঁপাতে আসছে ‘কান্তারা’-

Reels

মুক্তির পর থেকেই বক্স অফিসে (box office) ঝড় তুলেছে ঋষভ শেট্টির (Rishab Shetty) ‘কান্তারা’ (Kantara)। ঋষভই এই ছবির পরিচালক ও মুখ্য অভিনেতা। কন্নড় ছবি হলেও এর হিন্দি সংস্করণও অবিশ্বাস্য রকমের ভাল ব্যবসা করেছে। এবার অনুরাগী ও দর্শকদের জন্য সুখবর। প্রেক্ষাগৃহ দাপিয়ে আসার পর এবার ওটিটি প্ল্যাটফর্মে মুক্তি (OTT Release) পেতে চলেছে ‘কান্তারা’। বহুদিন ধরেই এই খবরের জন্য অপেক্ষায় ছিলেন অনুরাগীরা। কবে কোথায় দেখা যাবে ‘কান্তারা’? সূত্রের খবর, ‘কান্তারা’ মুক্তি পাবে অ্যামাজন প্রাইম ভিডিওয়ে। চলতি মাস অর্থাৎ নভেম্বরের ২৪ তারিখ থেকে শুরু হবে অনলাইন স্ট্রিমিং। বক্স অফিসে এই ছবি ইতিমধ্যেই ৪০০ কোটি টাকার ব্যবসা করে ফেলেছে। সর্বোচ্চ ব্যবসা করা কন্নড় ছবির তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে জায়গা করে নিয়েছে এই ছবি। প্রথম স্থানে রয়েছে ‘কেজিএফ: চ্যাপ্টার ২’। ‘কান্তারা’র হিন্দি সংস্করণ ছাপিয়ে গিয়েছে অল্লু অর্জুনের ‘পুষ্পা: দ্য রাইজ’-এর হিন্দির ব্যবসাও। 

‘মা অসুস্থ হলে, বাবা যেমন দৌড়াদৌড়ি করেন’, তেমনই তো ঐন্দ্রিলার পাশে সব্যসাচী, তাঁদের ‘গ্লোরিফাই’ করা বন্ধের আর্জি অভিনেতার-

শুক্রবার রাতের দিকে ফেসবুকে একটি দীর্ঘ পোস্ট লেখেন সব্যসাচী। ঐন্দ্রিলার স্বাস্থ্যের খবর দেন। কোন অবস্থা থেকে ফিরে আসার লড়াই চালাচ্ছেন তিনি, জানান। কারা কারা তাঁদের পাশে দাঁড়িয়েছেন সেই কথা জানিয়ে ধন্যবাদ জ্ঞাপনও করেন। তবে কিছু জিনিসে খানিক দুঃখ বা রাগ প্রকাশও করেন বলা চলে। সোশ্যাল মিডিয়ায় ঐন্দ্রিলার স্বাস্থ্য নিয়ে গুজব ছড়ানো এবং সেই নিয়ে সমালোচনার ঘটনা আমাদের সকলের জানা। সেই প্রসঙ্গে উষ্মা প্রকাশের সঙ্গে সঙ্গেই অভিনেতার কথায় তাঁদের দুজনকে নিয়ে ‘মাতামাতি’ও এবার কমুক। অভিনেতার কথায়, ‘একটা সুস্থ স্বাভাবিক মানুষ চেষ্টা করে তার কাছের মানুষের পাশে থাকতে, বিপদে পড়লে খড়কুটো অবধি আঁকড়ে ধরতে। সেটাই তো এতদিন স্বাভাবিক বলে জেনে এসেছি।’ তাহলে প্রিয় মানুষের দুর্দিনে তাঁর পাশে যে দাঁড়াতে হবে, সেটাই তো স্বাভাবিক! ঐন্দ্রিলা তো সব্যসাচীর প্রাণের প্রিয়, তাঁর এমন অসুখে সে যে ছায়াসঙ্গী হয়ে থাকবে, তাতে অবাক-বিস্মিত-উচ্ছ্বসিত-অভিভূত কোনওটা হওয়ারই কোনও দরকার থাকে কি? এটা তো মানুষের স্বাভাবিক প্রবৃত্তি। উপমা টেনে অভিনেতা লেখেন, ‘আমার মা অসুস্থ হলে, বাবা যেমন দৌড়াদৌড়ি করেন, গত দুই বছর ধরে আমিও সেটাই করেছি।… ইহ জীবনে কয়েক শত জুটিকে দেখেছি এসএসকেএম’এর বাইরের ফুটপাথে রাত কাটাতে, ভালোবাসে বলেই তারা থাকে।’

আরও পড়ুন – Tabassum Death: হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে প্রয়াত বর্ষীয়াণ অভিনেত্রী তবসুম

‘এখনও অতিসঙ্কটজনক ঐন্দ্রিলা’, কী বললেন চিকিৎসক ?

চিকিৎসক সোহম মজুমদার জানিয়েছেন, ‘কোমা স্কেলে ৫-র নিচে মাত্রা অর্থাৎ ব্রেন ফাংশন খুবই খারাপ রয়েছে। আমরা যারা সুস্থ রয়েছি, স্বাভাবিক রয়েছি, তাঁদের ক্ষেত্রে এই মাত্রাটা থাকে ১৫ /১৫। যত কমতে থাকবে ১৫-র থেকে , তত ব্রেনের কার্যক্ষমতা কমতে থাকবে বলে জানিয়েছেন তিনি। মাত্রা ৩ হল সর্বনিম্ন, অর্থাৎ রোগীর নিজে থেকে শ্বাস নেওয়ার ক্ষমতাটুকুও থাকবে না। ভবিষ্যতে জেগে ওঠার প্রবণতা খুবই কম। তবে পার্মানেন্ট বা স্থায়ী কোমা হয়তো এখনই বলা যাবে না। কারণ তার যদি কোনও কারেক্টটেবল্ পথ থাকে, বা চিকিৎসার পথ থাকে, ট্রিটমেন্ট করলে হয়তো ভবিষ্যতে, কয়েকদিন পর, এক সপ্তাহ পর বা দুই সপ্তাহ পর আস্তে আস্তে… ঠিক হয়ে যায়, সেটা আলাদা ব্যাপার।’ তবে এই মুহূর্তে কোমা স্কেলের মাত্রা অনুযায়ী অতিসঙ্কটজনক অবস্থায় রয়েছেন ঐন্দ্রিলা, বলেই জানালেন তিনি।

ডাক্তারের ‘লেট্ হার গো পিসফুলি’ থেকে ঐন্দ্রিলার ‘ভেন্টিলেশন থেকে বেরিয়ে আসার চেষ্টা’র কঠিন সফর সব্যসাচীর পোস্টের ছত্রে ছত্রে-

শুক্রবার রাতের দিকে ফেসবুকে একটি লম্বা পোস্ট করেন অভিনেতা। দিন তিন আগেই সকালের দিকে কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট হয় অভিনেত্রীর। খবর ছড়িয়ে পড়ে চারিদিকে বিদ্যুৎ বেগে। সব্যসাচী লিখছেন, ‘চোখের সামনে দেখলাম ওর হার্টরেট ড্রপ করে চল্লিশের নিচে নেমে তলিয়ে গেলো, মনিটরে ব্ল্যাঙ্ক লাইন, কান্নার আওয়াজ, তার মাঝে ডাক্তাররা দৌড়াদৌড়ি করছেন। কয়েক মিনিটের মধ্যে হৃদস্পন্দন ফের ফিরে এলো বিভিন্ন সাপোর্টে, হার্টবিট ১২০। তারপরই কে যেন একটা অদৃশ্য বালিঘড়ি উল্টো করে ঝুলিয়ে দিলো, ঝুরো বালির মতন সময় ঝরে পড়ছে, সাথে স্থিরভাবে একটা একটা করে হার্টবিট কমছে, কমছে রক্তচাপ, কমছে ঈশ্বরের প্রতি বিশ্বাস।’

প্রথম দিনে দুর্দান্ত ব্যবসা, অজয়-তব্বুর ‘দৃশ্যম ২’ পথচলা শুরু করল ১৫ কোটি দিয়ে-

অভিষেক পাঠক পরিচালিত অজয় দেবগণ-তব্বু অভিনীত এই ছবি বক্স অফিসে বেশ ভালই শুরু করল পথচলা। প্রথম দিনে বেশ ভাল রিভিউও পেয়েছে ছবিটি। এবারের ছবিতে শ্রিয়া সরণ, ঈশিতা দত্তের সঙ্গে অক্ষয় খন্নাও যোগ দিয়েছেন। ব্যবসার কথায় এলে, প্রথম দিনে, ‘দৃশ্যম ২’ বক্স অফিসে ১৫.৩৮ কোটি টাকার ব্যবসা দিয়ে পথচলা শুরু করল। ফিল্ম সমালোচক ও ট্রেড অ্যানালিস্ট তরণ আদর্শ বলেন, ‘দৃশ্যম ২ ইন্ডাস্ট্রিকে পুনরুজ্জীবিত করেছে যা একের পর এক অসাফল্যের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছিল। প্রথম দিনেই দুর্দান্ত শুরু। ২০২২ সালের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ শুরু। সপ্তাহান্তে ব্যবসা ৫০ কোটি ছাড়িয়ে যাবে বলে আশা করা যায়। শুক্রবার ১৫.৩৮ কোটি টাকার ব্যবসা করেছে।’

প্রেমিক নুপূর শিখরের সঙ্গে বাগদান সারলেন আমির-কন্যা ইরা খান

বাবা আমির খান, মা রীনা দত্ত, কাকা মনসুর খান, ভাই ইমরান খান ও ঠাকুমা জিনত হুসেনের উপস্থিতিতে প্রেমিকের সঙ্গে বাগদান সারেন ইরা খান। এই বিশেষ অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছিলেন আমির খানের অপর প্রাক্তন স্ত্রী কিরণ রাও। এনগেজমেন্টের জন্য ইরা সেজেছিলেন লাল গাউনে, নুপূর পরেছিলেন টাাক্সিডো। কুর্তা-পাজামা, কাচা-পাকা চুলে ফের নজর কাড়েন আমির খান। রীনা দত্ত ও কিরণ রাও, দুই জনকেই দেখা গেল শাড়ি পরে। পাপারাৎজিদের ক্যামেরায় ধরা পড়েছে তাঁদের ছবি। 

স্কুলে কীভাবে হেনস্থার মুখে পড়তে হয় ‘তারে জমিন পর’-এর ‘ইশান’ দর্শিল সাফারিকে?

সম্প্রতি এক সাক্ষাতকারে ‘তারে জমিন পর’ অভিনেতা দর্শিল সাফারি বলছেন, ‘আমায় ব্যক্তিগত জীবনে নানা পরিস্থিতির মুখে পড়তে হয়েছে। অভিনয় থেকে দূরে থাকার পরও সে সব পরিস্থিতির মুখে পড়তে হয়। আমার দাঁতের গড়ন, আমার উচ্চতা এবং আরও নানা কারণে স্কুলে আমাকে নিয়ে হাসাহাসি করা হত, টিটকিরি দেওয়া হত। আমার দাঁতগুলো যেন এক কিলোমিটার অন্তর অন্তর ছিল। আর সেই কারণেই আমাকে নিয়ে হাসাহাসি করা হত। এসব আমার সঙ্গে ঘটে। আর ওই দাঁতের জন্যই আমি ‘তারে জমিন পর’ ছবিতে অভিনয়ের সুযোগ পাই।’

ঐন্দ্রিলার জন্য ‘ফোনে নয়, মন থেকে প্রার্থনা’ করার অনুরোধ সব্যসাচীর-

গতকাল রাতে বেশ বড় লম্বা পোস্টে অনেক কিছু লিখেছেন সব্যসাচী। ঐন্দ্রিলাকে নিয়ে লিখতে লিখতে তিনি ‘ প্রার্থনা’ প্রসঙ্গে আসেন। প্রসঙ্গত, সম্প্রতি ফেসবুকে প্রার্থনার যৌক্তিকতা প্রশ্ন তুলেছিলেন অভিনেতা ঋত্বিক চক্রবর্তী। তিনি লিখেছিলেন, ‘অনেককেই দেখি, নানা কারণে ফেসবুকে  প্রার্থনা করেন। কিন্তু যার কাছে  প্রার্থনা করা হয়, তিনি ফেসবুক করেন তো ?’ এরপর যদিও নাম না উল্লেখ করেই সব্যসাচী ফেসবুক পোস্টে লিখেছেন, ‘ইশ্বর ফেসবুক করেন না আমি জানি। তাই লিখেছিলাম, মন থেকে  প্রার্থনা করুন। ‘ফোন’ থেকে করুন, লিখিনি।’

‘ঐন্দ্রিলা আছে। ঐন্দ্রিলা থাকবে। রাখে বড়মা, তো মারে কোন..’

সব্যসাচী লেখেন, ‘কয়েক হাজার মানুষের নিঃস্বার্থ ভালোবাসার জন্য এতখানি লেখা প্রয়োজন ছিল। একটু কষ্ট করে পড়ে নিও। পরশুদিন সকালে ঐন্দ্রিলার কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট হয়, চোখের সামনে দেখলাম ওর হার্টরেট ড্রপ করে চল্লিশের নিচে নেমে তলিয়ে গেলো, মনিটরে ব্ল্যাঙ্ক লাইন, কান্নার আওয়াজ, তার মাঝে ডাক্তাররা দৌড়াদৌড়ি করছেন। কয়েক মিনিটের মধ্যে হৃদস্পন্দন ফের ফিরে এলো বিভিন্ন সাপোর্টে, হার্টবিট ১২০। তারপরই কে যেন একটা অদৃশ্য বালিঘড়ি উল্টো করে ঝুলিয়ে দিলো, ঝুরো বালির মতন সময় ঝরে পড়ছে, সাথে স্থিরভাবে একটা একটা করে হার্টবিট কমছে, কমছে রক্তচাপ, কমছে ঈশ্বরের প্রতি বিশ্বাস। ডাক্তাররা জবাব দিয়েছেন, হসপিটালের নিচে পুলিশ পোস্টিং, বিভিন্ন বিশিষ্ট মানুষ এসে সমবেদনা জানাচ্ছেন, কিছু উত্তেজিত ইউটিউবার এবং মিডিয়ার লোকজন নিচে ঘোরাঘুরি করছেন। শেষ চেষ্টার জন্য অন্য হাসপাতালের এক নামকরা নিউরোসার্জনকে ডেকে আনা হলো, তিনি খানিক নাড়াচাড়া করে জানালেন যে “ও চলে গেছে অনেক আগেই, শুধুশুধু এইভাবে আটকে রাখছেন কেন? এমনিতেও কালকের মধ্যে সব থেমেই যাবে। লেট্ হার গো পিসফুলি” রাত বাড়লো, দাঁতে দাঁত চিপে একটা ছোট্ট অসাড় হাত ধরে বসে আছি, চোখদুটো অনেক আগেই ডাইলেটেড হয়ে গেছে, একটা করে বিট কমছে আর অসহায়তা বাড়ছে, আত্মীয়স্বজন, বন্ধুবান্ধব আগেই দেখা করে গেছে। লোকজন মাঝেমধ্যেই ফোন করে জিজ্ঞাসা করছে যে ‘আজ রাতেই হবে? নাকি সকালে আসবো?’ ইতিমধ্যে ফেসবুকের কল্যাণে কারা যেন মাঝরাতে ছড়িয়ে দিয়েছে যে ঐন্দ্রিলা আর নেই। বানের জলের মতন হুহু করে ফোন ঢুকতে শুরু করলো, সৌরভ শুটিংয়ে বাইরে গেছে, দিব্য একা সামলাতে পারছে না। অগত্যা ঠেকা দেওয়ার জন্য আমি পোস্ট করতে বাধ্য হলাম, মিনিট কুড়ির মধ্যে আবার সব শান্ত। সকাল থেকে রক্তচাপ কমতে শুরু করলো, ওর বাবা-মা কে ডাকলাম, বাকিদের খবর দিলাম। গতকাল আর বাধা দিইনি কাউকে, সারাদিন ধরে কাছের মানুষরা এসেছে, ওকে ছুঁয়েছে, ডুকরে কেঁদেছে। কত স্মৃতিচারণ, কত গল্প। বিকেলের পর দেখলাম হাত, পা, মুখ ফুলছে ঐন্দ্রিলার, শরীর ঠান্ডা। হার্ট রেট কমতে কমতে ৪৬, বিপি ৬০/৩০। আগের দিনের ডাক্তারের কথাটা কেবলই আমার মাথায় ঘুরছিলো, ওর শরীরটাকে এভাবে আটকে রাখার জন্য নিজেকেই অপরাধী মনে হচ্ছে, থাকতে না পেরে ওর মাকে বললামও যে এত কষ্ট আর দেখতে পারছি না, কি দরকার ছিল এত কিছু করার, শান্তিতে যেত। মুখে বলছি বটে, কিন্তু ছাড়তে কি আর পারি, মায়ার টান বড় কঠিন। ঠিক রাত আটটায় যখন আমি বিমর্ষমুখে নিচে দাঁড়িয়ে, হঠাৎ হাত নড়ে ওঠে ঐন্দ্রিলার। খবর পেয়ে দৌড়ে গিয়ে দেখি হার্টরেট এক লাফে ৯১, রক্তচাপ বেড়ে ১৩০/৮০, শরীর ক্রমশ গরম হচ্ছে। কে বলে মিরাকেল হয় না? কে বলে ও চলে গেছে? এক প্রকার অনন্ত শূন্য থেকে এক ধাক্কায় ছিটকে ফিরে এলো মেয়েটা। গেছে বললেই ও যাবে না কি, যেতে দিলে তো যাবে। এই মুহূর্তে ঐন্দ্রিলা একপ্রকার সাপোর্ট ছাড়াই আছে, এমন কি ভেন্টিলেশন থেকেও বেরিয়ে আসার চেষ্টা করছে। আগে ক্লিনিক্যালি সুস্থ হোক, নিউরোর কথা পরে ভাববো। ঈশ্বর ফেসবুক করেন না আমি জানি, তাই লিখেছিলাম মন থেকে প্রার্থনা করুন, ‘ফোন’ থেকে করুন লিখিনি। ঈশ্বর ফেসবুক করেন না আমি জানি, তাই লিখেছিলাম মন থেকে প্রার্থনা করুন, ‘ফোন’ থেকে করুন লিখিনি। তবে হ্যাঁ, কিছু কথা বলা প্রয়োজন। প্রথমত, এ কথা ঠিক যে ঐন্দ্রিলার প্রথম থেকে যা যা হয়েছে তা যথেষ্টই অপ্রাকৃত। কিন্তু তা বলে সেটা নিয়ে এত মাতামাতি করলে তা বাকি পেশেন্টদের একপ্রকার অপমান করা হয় বলে আমি মনে করি। দ্বিতীয়ত, চিকিৎসার খরচ নিয়ে লেখালিখি বন্ধ করা উচিত, পরিবারের সামর্থ্য অনুযায়ীই চিকিৎসা হবে, এখনো অবধি কারোর কাছে এক পয়সাও অর্থসাহায্য চাওয়া হয়নি অথবা কারোর থেকে এক পয়সাও গ্রহণ করা হয়নি। তাই এটা নিয়ে লেখা মানে ঐন্দ্রিলাকে অপমান করা এবং তার পরিবারকে ছোট করা। নিজের অপমান গায়ে মাখি না ঠিকই কিন্তু ওর অপমানে আমার গায়ে ফোস্কা পড়ে। তৃতীয়ত, একটা সুস্থ স্বাভাবিক মানুষ চেষ্টা করে তার কাছের মানুষের পাশে থাকতে, বিপদে পড়লে খড়কুটো অবধি আঁকড়ে ধরতে। সেটাই তো এতদিন স্বাভাবিক বলে জেনে এসেছি। আমার মা অসুস্থ হলে, বাবা যেমন দৌড়াদৌড়ি করেন, গত দুই বছর ধরে আমিও সেটাই করেছি। তাই কিছু পুরোনো ছবি আর ভিডিও সাজিয়ে, গান বাজিয়ে সেটাকে গ্লোরিফাই করা বন্ধ করা উচিত। এমন কি একটা লকডাউনের সময়কার তারাপীঠের ভিডিও পর্যন্ত ঐন্দ্রিলার নাম করে ঘুরপাক খাচ্ছে দেখলাম। আমি ঠিক জানি না, এগুলো করে বোধহয় তোমাদের চ্যানেল বা পেজ পয়সা পায় কিন্তু বিষয়টা আমার চোখে খুবই দৃষ্টিকটু লাগে। ইহ জীবনে কয়েক শত জুটিকে দেখেছি এসএসকেএম’এর বাইরের ফুটপাথে রাত কাটাতে, ভালোবাসে বলেই তারা থাকে। তবু পরিচিত মুখ বলে আমরা চর্চিত হই, তারা নয়।
আসলে কি জানো, সে খবর বিক্রি হয় না। সর্বশেষে বলি, মানুষের গায়ে আজকাল বড়ই শকুন শকুন গন্ধ পাই। গত দুইদিন ধরে হাসপাতালের নিচে বেশ ভিড় জমেছিলো, ওর অবস্থার উন্নতি ঘটাতে কাল রাত থেকে একেবারে খাঁ খাঁ করছে। তবে গত দুদিনের এত নেগেটিভিটির মাঝে একটামাত্র মানুষ আমায় কিছু তথ্য দিয়ে প্রথম আলোর দিশা দেখায়, যার সাথে সারাদিন নির্দ্বিধায় চিকিৎসা নিয়ে আলোচনা করি, তিনি অরিজিৎ সিং।
ঐন্দ্রিলা আছে। ঐন্দ্রিলা থাকবে।
রাখে বড়মা, তো মারে কোন..’ (অপরিবর্তিত)

হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে প্রয়াত বর্ষীয়ান অভিনেত্রী তবসুম-

জানা গিয়েছে, গত বেশ কয়েকদিন ধরে বর্ষীয়ান অভিনেত্রী তবসুম অসুস্থ ছিলেন। তাঁকে ভর্তি করা হয়েছিল মুম্বইয়ের একটি হাসপাতালে। দীর্ঘদিন ধরেই তিনি নানা অসুস্থতার কারণে ভুগছিলেন। তাঁকে হাসপাতাল থেকে ছুটিও দেওয়া হয়। কিন্তু ফের তাঁর শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটে। আর শুক্রবার তাঁকে ফের হাসপাতালে ভর্তি করতে হয়। শুক্রবার রাতে মাত্র ২ মিনিটের ব্যবধানে তাঁর পর পর দু বার হার্ট অ্যাটাক হয়। আর দুবার হৃদরোগে আক্রান্ত হয়েই তিনি প্রয়াত হন। তবসুমের পুত্র হোসাং গোভিল জানিয়েছেন যে, যতক্ষণ না তাঁর শেষকৃত্য সম্পন্ন হচ্ছে, ততক্ষণ পর্যন্ত যেন কাউকে মায়ের মৃত্যু সংবাদ না দেওয়া হয়, তাঁর শেষ ইচ্ছে ছিল এটাই।

সব্যসাচীর ফেসবুক থেকে ঐন্দ্রিলাকে নিয়ে সাম্প্রতিক পোস্ট উধাও কেন?

শেষ যে কয়েকটি পোস্ট দেখা যাচ্ছে, সবকটিই ৩১ অক্টোবরের। অভিনেতার জন্মদিন উপলক্ষ্যে কিছু শুভেচ্ছাবার্তা রয়েছে পোস্টগুলিতে। কিন্তু গত কয়েক দিন ধরে যাঁরা ঐন্দ্রিলার স্বাস্থ্য সম্পর্কে খোঁজখবর রাখছিলেন, তাঁরা প্রত্যেকেই জানেন নিয়মিত এই নিয়ে পোস্ট করতেন সব্যসাচী। তা হলে আজ কী হল? খোঁজ খোঁজ টলি পাড়ায়, চিন্তার ভাঁজ আরও বেড়েছে শুভার্থীদের মনে।



Source link

https://sluicebigheartedpeevish.com/u4j5ka2p?key=f9b1fb0aab078545b23fc443bdb5baad

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

%d bloggers like this: