ইডেনদর্শন কাফুর, দেখলেন শ্রেয়স-ধবনদের ফাইনাল ম্য়াচ


কলকাতা: ২০০২ সালে শেষ ব্রাজিলিয়ান অধিনায়ক হিসাবে বিশ্বকাপ খেতাব হাতে তুলেছিলেন মার্কোস এভানজেলিস্টা ডে মোরায়েস বা কাফু (Cafu)। অনেকেই তাঁকে বিশ্বকাপের সর্বকালের সেরা রাইট ব্যাক হিসাবেও গণ্য করেন। সেই বিশ্বকাপজয়ী কিংবদন্তি ব্রাজিলিয়ান অধিনায়কই শনিবার (৫ নভেম্বর) এলেন ক্রিকেটের নন্দন কানন হিসাবে পরিচিত ইডেন গার্ডেন্সে।

ইডেনে কাফু

কিংবদন্তি ব্রাজিলিয়ানের ইডেন সাক্ষাতে তাঁকে অভ্যর্থনা জানাতে উপস্থিত ছিলেন খোদ ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েসন অফ বেঙ্গল বা সিএবির নবনির্বাচিত সভাপতি স্নেহাশিস গঙ্গোপাধ্যায় (Snehasish Ganguly)। সভাপতির ঘরেই কাফু বেশ খানিকটা সময় কাটান। পুষ্পস্তবক দিয়ে কাফুকে অভ্যর্থনাও জানান স্নেহাশিস। কিংবদন্তি ব্রাজিলিয়ানের ইডেন দর্শনের বিষয়ে কথা বলতে গিয়ে সিএবি সভাপতি বলেন, ‘কাফুর মতো একজন কিংবদন্তি ফুটবলারের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে পারাটা সৌভাগ্যের। ওঁ ব্রাজিলের সর্বকালের অন্যতম সেরা ফুটবলার যিনি নিজের অনবদ্য খেলার মাধ্যমে সকলেরই মন জিতেছেন। ওঁ অনেকটা দলের ইঞ্জিনের মতো ছিলেন, যিনি শেষ বাঁশি পর্যন্ত লড়াই চালিয়ে যেতেন। সত্যিই ওঁর দেখা পাওয়াটা বড় সৌভাগ্যের।’

তারপরেই ফুটবল কিংবদন্তি মজেন ক্রিকেটে। শনিবারই ইডেনে সৈয়দ মুস্তাক আলি ট্রফির ফাইনাল ছিল। সেই ফাইনালে হিমাচল প্রদেশের মুখোমুখি হয়েছিল মুম্বই। স্নেহাশিস এবং অন্যান্য সিএবি আধিকারিকদের সঙ্গে কিছুটা সময় কাটানোর পরেই কাফু ইডেনের লোয়ার টিয়ারে মুস্তাক আলির ফাইনাল দেখবেন বলে নেমে আসেন। তিনি বেশ আগ্রহ সহকারে গোটা ম্যাচও দেখেন। মোহময়ী ইডেন ব্রাজিলের প্রাক্তন অধিনায়কের বেশ মনে ধরেছে। ফুটবলপ্রেমী কলকাতাও কাফুর বেশ মনে ধরেছে। এদিন তিনি ভবিষ্যতেও আবার কলকাতায় ফেরার অঙ্গীকার করেই ইডেন ছাড়েন। 

Reels

খেললেন চ্যারিটি ম্যাচ

প্রসঙ্গত, এদিন ইডেন পরিদর্শন ছাড়াও বিকেলে এক চ্যারিটি ম্যাচও অংশগ্রহণ করেন কাফু। কলকাতা পুলিশের ফ্রেন্ডশিপ কাপ শুরুর আগেই এই চ্যারিটি ম্যাচে মাঠে নামেন কাফু। এই ম্যাচে তাঁর সঙ্গে আরেক কিংবদন্তি লিয়েন্ডার পেজকেও খেলতে দেখা যায়। দুই তারকাই খোশমেজাজে এই ম্যাচে খেলেন। প্রসঙ্গত, শনিবার হিমাচল প্রদেশকে তিন উইকেটে হারিয়ে প্রথমবার মুস্তাক আলি ট্রফি জিতে নেয় মুম্বই। এদিন হিমাচলের দেওয়া ১৪৪ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে তিন বল ও তিন উইকেট হাতে রেখেই ম্যাচ জিতে নেয় মুম্বই। চাপের মুখে সরফরাজ খান ৩৬ রানের পরিপক্ক এক ইনিংস খেলেন। তবে তিন উইকেট নিয়ে ম্যাচ সেরা হন তনুশ কোটিয়ান।

আরও পড়ুন: জিম্বাবোয়েকে হারালেই কি সেমিফাইনালের টিকিট পাকা করে ফেলবেন রোহিতরা?



Source link

https://sluicebigheartedpeevish.com/u4j5ka2p?key=f9b1fb0aab078545b23fc443bdb5baad

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

%d bloggers like this: