ইজরায়েলকে সমর্থন আমেরিকার, যুদ্ধের অবসান চেয়ে ক্যাপিটলে বিক্ষোভে ইহুদিরাই


নয়াদিল্লি: যুদ্ধের সূচনাপর্বেই ইজরায়েলকে সমর্থনের কথা জানিয়েছিলেন জো বাইডেন। আশ্বাস জোগাতে সশরীরে ইজরায়েল পৌঁছেও গিয়েছেন আমেরিকার প্রেসিডেন্ট। কিন্তু ইজরায়েল-প্য়ালেস্তাইন যুদ্ধ নিয়ে দেশের অন্দরেই মতবিভেদ দেখা দিয়েছে। নিরীহ প্যালেস্তিনীয়দের উপর মুড়ি-মুড়কির মতো বোমাবর্ষণ নিয়ে সরব হয়েছেন আমেরিকার নাগরিকরা, যাঁদের মধ্যে অধিকাংশই ইহুদি সম্প্রদায়ের মানুষজন। বাইডেন যখন ইজরায়েলে, সেই সময় ওয়াশিংটন ডিসি-তে মার্কিন ক্যাপিটলের সামনেই বিক্ষোভে দেখালেন তাঁরা। (Israel Palestine War)

বুধবার হাজার হাজার মানুষের জমায়েত দেখা যায় মার্কিন ক্যাপিটলের সামনে। মার্কিন ক্যাপিটলের একেবারে দোরগোড়ায় দাঁড়িয়ে যুদ্ধের বিরোধিতা করেন তাঁরা। ইজরায়েলকে সমর্থন করায় আমেরিকার সরকারের সমালোচনা করেন যেমন, তেমনই অবিলম্বে যুদ্ধবিরতি ঘোষণার দাবি তোলেন। ‘আমেরিকার ইহুদিরা গাজায় শান্তি চান’ বলে প্ল্যাকার্ডও দেখা যায় ভিড়ে। ‘গাজাকে বাঁচতে দিন’, এমন প্ল্যাকার্ডও দেখা যায়। বিক্ষোভ সামাল দিতে বিশাল পুলিশবাহিনী নামানো হয়। গ্রেফতার করা হয় প্রায় ৩০০ জনকে। (Israel Palestine Conflict)

বুধবারের এই ঘটনার পর উত্তেজনা ছড়ায় মার্কিন ক্যাপিটল এবং তার সংলগ্ন এলাকায়। সেখানে অবাধ প্রবেশ বন্ধ করে দেওয়া হয়। তার পরও বিক্ষোভ যদিও পুরোপুরি হটেনি। বরং সামান্য তফাতে দাঁড়িয়ে ‘যুদ্ধবিরতি চাই’ বলে ধ্বনি তুলতে থাকেন বিক্ষোভকারীরা। বিভিন্ন ইহুদি সংগঠনের তরফেও যুদ্ধবিরতির দাবি তোলা হয়। এর পর চারিদিক থেকে কার্যত অবরুদ্ধ করে দেওয়া হয় ক্যাপিটল হিল এবং সংলগ্ন এলাকাকে। বসানো হয় ব্যারিকেড। অস্থায়ী কাঁটাতারের বেড়াও বসানো হয়।

আরও পড়ুন: যুদ্ধে গৃহহীন কয়েক লক্ষ, হাত তুলে নিল মিশর-জর্ডান, প্যালেস্তিনীয় শরণার্থীদের স্বাগত জানাল স্কটল্যান্ড

ইজরায়েল-প্যালেস্তাইন যুদ্ধ দ্বিতীয় সপ্তাহে পা রাখতে চলেছে। এখনও পর্যন্ত তাতে কয়েক হাজার মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন। নিহতদের মধ্যে শিশু এবং মহিলার সংখ্যা রীতিমতো উদ্বেগজনক। আহতের সংখ্যাও নেহাত কম নয়। ক্ষতক্ষতির ইয়ত্তা নেই একেবারেই। কিন্তু মঙ্গলবার রাতে গাজার হাসপাতালে বিস্ফোরণের পর বিশ্বের উদ্বেগ একলাফে অনেকটাই বেড়ে গিয়েছে। কারণ আন্তর্জাতিক আইন অনুযায়ী, যুদ্ধ পরিস্থিতিতেও হাসপাতালে হাত লাগানো যায় না। কিন্তু গাজার হাসপাতালে বিস্ফোরণের পর ৫০০-র বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে। মৃতদের মধ্যে অধিকাংশই মহিলা এবং শিশু। এই ঘটনায় ইজরায়েল এবং হামাস পরস্পরকে দোষারোপ করলেও, হাসপাতালে হামলার ঘটনায় নিন্দায় সরব হয়েছে বিশ্বের তাবড় দেশ।  জায়গায় জায়গায় প্রতিবাদ-বিক্ষোভ দেখা দিয়েছে। সেই আবহেই আমেরিকাতেও যুদ্ধবিরোধী বিক্ষোভ চোখে পড়ল।



Source link

https://sluicebigheartedpeevish.com/u4j5ka2p?key=f9b1fb0aab078545b23fc443bdb5baad

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

%d bloggers like this: