আত্মঘাতী বিস্ফোরণে কেঁপে উঠল কাবুলের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, নিহত অন্তত ১৯


কাবুল: শুক্রবার সকাল। আর পাঁচটা দিনের মতোই সবটা এগোচ্ছিল। হঠাৎ কান ফাটানো আওয়াজ। কিছু বোঝার আগেই লন্ডভন্ড হয়ে গেল কাবুলের (kabul) শিয়া (Shiite community) অধ্যুষিত ‘দশতি বারচি’ এলাকা। সরকারি হিসেব মতো এদিন সকালের ওই আত্মঘাতী বিস্ফোরণে (suicide bombing) নিহতের (killed) সংখ্যা ১৯, জখম ২৭। কিন্তু কে ঘটাল বিস্ফোরণ? এখনও স্পষ্ট নয়। ঘটনার দায়স্বীকার করে কোনও বিবৃতিও আসেনি।

কী ঘটেছিল?
তালিবান-নিযুক্ত কাবুল পুলিশের প্রধান খালিদ জারদান সংবাদসংস্থা এপি-কে হতাহতের সংখ্যার কথা জানান। তার আগে স্থানীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা যায়, ‘দশতি বারচি’ এলাকার একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের অন্দরে বিস্ফোরণ হয়েছে। আফগানিস্তানের অভ্যন্তরীণ মন্ত্রকের মুখপাত্র আব্দুল নফি তাকোর দাবি করেছিলেন, একেবারে ভোরের দিকে বিস্ফোরণটি হয়েছে। কিন্তু এর বেশি কোনও তথ্য পাওয়া যায়নি। সংবাদসংস্থা এপি-কে জানানো হয়, সরকারি তরফে একটি টিম ঘটনাস্থলের দিকে রওনা দিয়েছে। কিন্তু হঠাৎ এমন ঘটনার নেপথ্য়ে কারা সেটা এখনও স্পষ্ট নয়। ইতিহাস বলছে, এর আগে তালিবানের প্রতিপক্ষ ইসলামিক স্টেট একাধিকবার মসজিদে হামলা চালিয়েছে। বিশেষত আফগানিস্তানের সংখ্যালঘু শিয়া সম্প্রদায়ের সদস্যরা অতীতেও তাদের নিশানায় এসেছে বলে অভিযোগ।

অতীতে হামলা…
গত এপ্রিলে বিস্ফোরণে কেঁপে উঠেছিল কাবুলের দারুল-আমান এলাকা। স্থানীয় সংবাদমাধ্যম টোলো নিউজ জানিয়েছে, কাবুলের দারুল-আমানেও একটি মসজিদ চত্বরে বোমা বিস্ফোরণ হয়েছিল। তাতে প্রাথমিক বাবে পাঁচ জনের মৃত্যুর খবর মেলে। জখম হন আরও অনেকে। তবে প্রশাসনের আশঙ্কা ছিল, বিস্ফোরণে মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে। সূত্রের খবর, যাঁরা আহত এবং যাঁদের মৃত্যু হয়েছে তাঁরা সকলেই প্রার্থনাকারী ছিলেন। স্থানীয় বাসিন্দাদের একটি বড় অংশের দাবি, বিস্ফোরণের অভিঘাত যা ছিল তাতে আরও অনেকের মৃত্যু হয়ে থাকতে পারে। তার আগে, মাসখানেকের মধ্যে বারবার বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে আফগানিস্তানে। তার মধ্যে কাবুলেও বোমা বিস্ফোরণ হয়েছে। এপ্রিলেই কাবুলে একটি স্কুলে বোমা বিস্ফোরণ হয়েছিল। সেই ঘটনায় একাধিক মৃত্যু হয়েছিল। যে স্কুলের চত্বরে বিস্ফোরণটি ঘটানো হয়েছিল, সেটি মূলত শিয়া অধ্য়ুষিত। তার আগে এপ্রিলের প্রথম সপ্তাহে পুল-ই-কিস্ত মসজিদে গ্রেনেড হামলা হয়। সেখানেও বেশ কয়েকজন জখম হয়েছিলেন। সেই সময়েই কয়েকদিন আগে-পরে কাবুলে গ্রেনেড হামলা হয়েছে। সেই ঘটনাতেও মারা গিয়েছিলেন একজন। বার বার কেন বিস্ফোরণের কেন্দ্র হয়ে উঠছে আফগানিস্তান? উত্তর নেই। শুধু মৃত্যুমিছিল চলছে।

আরও পড়ুন:বিজেপি বিধায়কদের সঙ্গে একমঞ্চে শিশির ! তুঙ্গে বিতর্ক



Source link

https://sluicebigheartedpeevish.com/u4j5ka2p?key=f9b1fb0aab078545b23fc443bdb5baad

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

%d bloggers like this: