অপহৃতরা না ফেরা পর্যন্ত বিদ্যুতের সুইচ জ্বলবে না গাজায়, চাপ সত্ত্বেও অবরোধ নিয়ে অনড় ইজরায়েল


নয়াদিল্লি: পণবন্দিদের মুক্ত না করা পর্যন্ত গাজায় অবরোধ উঠবে না, ক্রমবর্ধমান আন্তর্জাতিক চাপের মুখেও অনড় অবস্থান ইজরায়েলের (srael Palestine War)। দেশের শক্তিমন্ত্রী ইজরায়েলি কাটজের কথায়, ‘গাজায় মানবিক ত্রাণ (Israel Iron Fist Over Gaza Blockade)? ইজরায়েল থেকে যাঁদের অপহরণ করা হয়েছে, তাঁরা বাড়ি না ফেরা পর্যন্ত কোনও বিদ্যুতের সুইচ জ্বলবে না, কোনও জলের পাইপ চালু হবে না, কোনও জ্বালানির গাড়ি ঢুকবে না।’ এদিকে ইন্টারন্যাশনাল রেড কমিটি অফ দ্য রেড ক্রস (আইসিআরসি) (ICRC On Gaza Situation) জানিয়েছে, আর কয়েক ঘণ্টার মধ্যে গাজার হাসপাতালগুলির জেনারেটরের জ্বালানি শেষ হয়ে যাবে। জখমের সংখ্যা বাড়ছে হুড়মুড়িয়ে। কী হবে তাঁদের? কেউ জানে না। 

আর যা…
ইজরায়েলের দাবি, শনিবারের হামলার পর বিদেশি নাগরিক-সহ অন্তত দেড়শো জনকে অপহরণ করেছে হামাস। সে দিন থেকে যে হামলা চলেছে, তাতে এর মধ্যেই ইজরায়েলে অন্তত ১২০০ জন মারা গিয়েছে বলে খবর। জবাবে আকাশপথে টানা আক্রমণ চালাচ্ছে আইডিএফ। এখনও পর্যন্ত তাতে ১৩০০-রও বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে বলে সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর। পাশাপাশি গাজায় সম্পূর্ণ অবরোধ ঘোষণা করেছে ইজরায়েল যার ফলে খাবার, পানীয় জল, জ্বালানি এবং ওষুধের মতো পণ্য একচিলতে ভূখণ্ডে ঢোকার পথ ভয়ঙ্কর ভাবে সীমিত হয়ে যায়। তার উপর প্যালেস্তিনীয় কর্তৃপক্ষের অধীনে থাকা গাজার একমাত্র সৌরচালিত বিদ্যুৎকেন্দ্র গত কাল অর্থাৎ বুধবার থেকে পুরোপুরি নিষ্ক্রিয় হয়ে পড়েছে। মর্মান্তিক পরিস্থিতি গাজার। রাষ্ট্রপুঞ্জের তরফে বার বার ত্রাণ পৌঁছনোর অনুমতি দিতে বলা হয়েছে ইজরায়েলকে। কিন্তু সে দেশের প্রেসিডেন্ট আইজ্যাক হারজগ এদিনও বলে দেন, ‘আন্তর্জাতিক আইন মেনেই আমরা যা করার করছি।…কিন্তু এখন যুদ্ধের সময়, যুদ্ধের সময়।’

ভূপথে হামলা?
গাজার সীমান্তে যে বিপুল ইজরায়েলি সেনা যুদ্ধের প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছে, তা নতুন নয়। লেবাননের দিকে সীমান্তেও সেনা মোতায়েন হয়ে রয়েছে। তবে এখনই গাজায় ভূপথে হামলা চলবে কিনা, সেটি স্পষ্ট নয়। তবে এদিন সকাল পর্যন্ত অন্তত রাজনৈতিক স্তরে কোনও সিদ্ধান্ত হয়নি বলে খবর। এমন পরিস্থিতিতে তেল আভিভে পৌঁছেছেন মার্কিন বিদেশসচিব অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন। ইজরায়েলকে সমর্থন জোগাতেই এই সফর। অন্য দিকে ইরান গণহত্যার অভিযোগ এনেছে ইজরায়েলের বিরুদ্ধে। পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে মিশর, কাতার এবং রাষ্ট্রপুঞ্জের সঙ্গে কথা বলে চলেছে হামাস। এর শেষ কোথায়?

        

আরও পড়ুন:লিস্টিংয়েই দুরন্ত লাভ, প্লাজা ওয়্যারসের শেয়ার বাড়ল ৫৬ শতাংশ   

 

 



Source link

https://sluicebigheartedpeevish.com/u4j5ka2p?key=f9b1fb0aab078545b23fc443bdb5baad

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

%d bloggers like this: